
আশাশুনি প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলায় গ্রামের পর গ্রাম মিলছে না পানের উপযোগি পানি।তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে পানির সংকট। উপজেলা সদরে রয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ইতোমধ্যে শীত মৌসুম শেষের দিকে থাকায় উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় পানির স্তর নীচে নামতে শুরু করেছে। ফলে নলকুপে পানি উঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ অপেয় পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছে জটিল ও কঠিন রোগে। উপজেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার পরিবারের লোক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এর মধ্যে ৯০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পান থেকে বঞ্চিত। আশাশুনির পানিকে স্থান বিশেষ শূন্য দশমিক ৫ থেকে শূন্য দশমিক ৯ মিলি লিটার কেলিফর্ম ব্যাক টরিয়া রয়েছে যা গ্রহন যোগ্যতার চেয়ে কয়েকগুন বেশী। পরিসংখ্যান অনুযায়ি আশাশুনি উপজেলায় পানি শুধু পান অনুপযোগি নয় ব্যবহার অনুপযোগি রয়েছে। আশাশুনি উপজেলার খাল বিল, হাওড়, পুকুর, সর্বত্র লোনা পানি তুলে অপরিকল্পিকত ভাবে চিংড়ী চাষ করা হচ্ছে।এতে সমগ্র এলাকায় পানি, মাটি এবং পরিবেশ হয়ে পড়ছে দূষিত। ফলে আশাশুনির মানুষ মাইলের পর মাইল পেরিয়ে পানি সংগ্রহ করছে।
তথ্যানুযায়ি,আশাশুনির গভীর নলকুপের ক্ষেত্রে নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত পানির স্তর দ্রত নামতে থাকে। ফলে অধিকাংশ নলকুপ দিয়ে উঠে না। এ কারনে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পান করতে বাধ্য হয় অপেয় পানি। পানিতে স্বাভাবিক লবনাক্ততার ১ থেকে ৩ হাজার মিলোসিস সেন্টিমিটার।বাংলাদেশের প্রতি ১০০ মিলিমিটার পানিতে সর্বোচ্চ চারটি কেলিফার্ম ব্যাকটেরিয়া গ্রহন যোগ্য। জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ি উপজেলার ৯০ ভাগ নলকুপের পানিতে গ্রহন যোগ্যতা মাত্রার চেয়ে অধিক আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়না গাঁটের টাকা খরচ করে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা। অথচ আশাশুনির যে দিকে চোখ যায় পানি আর পানি,অফুরান্ত পানি।তবে তা ব্যবহার অনুপোযোগি,অপেয় লবনাক্ততা। আশাশুনির প্রতাপনগর, খাজরা, শ্রীউলা, অনুলিয়া, শোভনালি, কাদাকাটি, বড়দল এলাকার অধিকাংশ লোকের পানি সংগ্রহ করতে হয় কয়েক কিলোমিটার দুর থেকে। এরা সপ্তায় দুদিন কলস কিংবা জারিক্যানে ভরে পানি সংগ্রহ করে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেঞ্জদের মতে মাত্রারিক্ত আর্সেনিক, আয়রন, লবনাক্ততা এবং ব্যকটেরিয়া যুক্ত পানি পান করলে হৃদরো, যৃকত রোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্মরোগ সহ বিভিন্ন কঠিন ও জটিল রোগ হতে পারে।