
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনির আনুলিয়া ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মতবিনিময় করেছেন অধ্যক্ষ ড. শিহাব উদ্দিন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়ায় তার বাস ভবনে মত বিনিময় করেছেন । মতবিনিময় কালে উপজেলার বড়দল কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ উপজেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক ড. শিহাব উদ্দিন স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, আমি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র সংসদের দু দু’বার ছাত্রলীগ মনোনীত নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত আনুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের মনোনীত সাধারণ সম্পাদক, সাথে সাথে ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের মনোনীত সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। ২০১৭ থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক আছি। তিনি বলেন, আমার পিতা ‘১৯৭২ সালে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী নিজস্ব জমি দান করে কাকবাসিয়া হাইস্কুলকে ‘বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ নাম করণ করেন। কিন্তু ‘১৯৭৬ সালে অজ্ঞাত কারনে সে নাম পরিবর্তন করা হয়। বাধ্য হয়ে ২০০২ সালে ড. শিহাবুদ্দিন পুনরায় ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম প্রস্তাব করে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের নিকট প্রস্তাব করলে ‘২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নাম করনের অনুমোদন দেন। ওই স্কুলটি বর্তমানে সরকারি করণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আশাশুনির ১১ ইউনিয়নের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে আনুলিয়ার স্থান সর্ব শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা নড়বড়ে থাকলেও কাকবাসিয়া স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা প্রায় শতাধিক বিসিএস ক্যাডার হিসেবে চাকুরীরত রয়েছেন। কিন্তু এসবের মধ্যেও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ স্বত্তিতে নেই, মানুষ অসহায়ত্ব ও আতঙ্কগ্রস্ত থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাকেই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে বা জোর আহবান জানাচ্ছেন। আমি নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হতে পারলে নিরীহ সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। এ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করবো ইনশাল্লাহ্। ত্রাণ, অনুদান, ভিক্ষা এলাকার মানুষের চাহিদা নয়, তাদের দাবী সন্ত্রাস, নাশকতা আর মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। আমি আমার স্বল্প পরিসরে তেমন পদের ব্যক্তি না হলেও কাকবাসিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকটির দাতা, সাতবার কাকবাসিয়া হাই স্কুলের সভাপতি ছিলাম, স্কুলটি সরকারি করনের প্রক্রিয়াধীন থাকায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশে ও স্কুলের সার্থে সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ইউএনও মহোদয়। আমি বর্তমানে বাকশিস সাতক্ষীরা জেলা শাখার নির্বাচিত সহ-সভাপতি। আমি প্রতি বছর নিজ তহবিল হতে এলাকার বহু গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহযোগীতা করে থাকি, এলাকার মানুষের সুবিধা অসুবিধা, বিপদ-আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। সামাজিক সম্প্রীতি ও সার্বিক কল্যাণে কাজ করে এসেছি। আমি ভবিষ্যতে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা, সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ইউনিয়নকে জনগণের আশ্রয়স্থল ও অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করে একটি পরিচ্ছন্ন, উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করাসহ মডেল ইউনিয়নে পরিনত করতে বাকী জীবনটা জনগনের সেবায় নিজেকে সপে দিতে চায়। সর্বপরি আমি ড. শিহাবুদ্দিন আগামী ইউপি নির্বাচনে আমার প্রানপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয় সভানেত্রীসহ উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছি।