বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। সমাজ আলোকিত করে। সুনাগরিক গঠনেও বই অন্যতম ভ‚মিকা রাখে। মোট কথা বইয়ের কোন বিকল্প নেই। একটি ভালো বই যেমন সভ্য জাতি গঠনে সহযোগীতা করে তেমন মন্দ বই ভবিষ্যৎ বুদ্ধিদীপ্ত সুনাগরিক গঠনে বাধা সৃষ্টি করা। বই পড়তে হবে। প্রিয়জনকে বই উপহার দিতে হবে। বইয়ের সংগ্রহশারা গড়ে তুলতে হবে। তাই সকলের জন্য বই সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন এবং সকলের নিকট বই পৌঁছে দেওয়া কর্তব্য। ডিজিটাল ইন্টারনেটের যুগে বইয়ের বড় একটা জায়গা দখল করে নিয়েছে এ্যানড্রয়েড ফোন। সকাল-দুপুর-সন্ধাবেলা, হাটে-মাঠে-ঘাটে সকল সময় সবার হাতে এখন মোবাইল ফোন। চিত্তবিনোদন, খেলাধুলা, লেখাপড়া, হিসাবনিকাশ সব কাজেই এখন মোবাইলের একক ব্যাবহার। পোষাকের পকেটে, ডেক্সের ড্রয়ারে, ব্যাগে, লেডিস পার্টসে একছত্র আধিপত্ত বিস্তার করে চলেছে মোবাইল ফোন। আর মোবাইল যতটা হাতের নাগালে জায়গা করে নিয়েছে ঠিক ততটাই দূরে সরে গেছে প্রিন্ট বই। পাঠকের নিকট বই প্রাপ্তিতে বড় বাধা এখন ডিজিটাল মিডিয়া। তার সাথে যুক্ত হয়েছে বইয়ের মূল্য। বাজারে কোন বইয়ের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা বা বইয়ে লেখা নেই। সকল ধরনের বই যেমন, গবেষণাম‚লক বই, একাডেমিক বই, গল্পের বই, উপন্যাস, নাটক, জীবনীসহ সকল বইয়ের প্রকৃত ম‚ল্য থেকে দৃশ্যমান ম‚ল্য অনেক বেশি লেখা হচ্ছে আজকাল। দৃশ্যমান ম‚ল্য বেশি হওয়ার কারণে অনেকে বই ক্রয়ে নিরুৎসাহিত হয়। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ স্বল্প শিক্ষিত বা বর্ণজ্ঞানহীন। তাঁরা কম বোঝেন। কিন্তু তাঁদের কম বোঝার ফলে ফায়দা হয় দোকানদারদের। যেমন, একটি বইয়ের ম‚ল্য বইতে দেওয়া আছে চারশত বিশ টাকা কিন্তু দুইশত ত্রিশ টাকা হলো বিক্রয় ম‚ল্য। তাহলে বইটির ম‚ল্য চারশত বিশ টাকা দেওয়ার কোনো মানে হয় না! যদি বইটি দু’শ ত্রিশ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হয় সেখানে চারশত বিশ টাকা লেখা মানে দুর্নিতীবাজ ব্যাবসায়ীদের ক্রেতা ঠকানোর সুযোগ করে দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়! সব কিছুর একটি বিধিমালা বা আইনি প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে বইয়ের সঠিক ম‚ল্য লেখা জরুরী। এইগুলো বাস্তবায়ন করলে লেখা মানসম্মত বই বের হবে এবং পাঠকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে! তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং লেখক, প্রকাশকদের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই বিষয়গুলো লক্ষ রেখে বই প্রকাশ করার জন্য।
বইয়ের সঠিক ম‚ল্য লিখুন
পূর্ববর্তী পোস্ট