
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আরও তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তার আদালতে এই সাক্ষীদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
যে সমস্ত সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহন ও জেরা করা হয় তারা হলেন, বাসচালক মোঃ নজিবুল্লাহ, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী। সরকারপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর ও দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত কুমার চ্যাটার্জী ও হাশেম আলী সরদার ও সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি এড. আব্দুল লতিফ।
আসামীপক্ষে ছিলেন এড. আব্দুল মজিদ এবং এড. মিজানুর রহমান পিন্টু সহ অন্যরা।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ার হিজলদী গ্রামের গনধর্ষনের শিকার মুক্তিযোদ্ধা পতœী মাহফুজা খাতুনকে দেখতে আসেন। এরপর তিনি একটি পথসভায় ভাষন শেষে কলারোয়া হয়ে মাগুরা অভিমুখে রওনা হন। কলারোয়া বাজারে পৌছানোর পর তার গাড়িবহরে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার সফরসঙ্গী কয়েকজন আহত হন। বিরোধী দলীয় নেত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেন।
এ ঘটনা নিয়ে কলারোয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোসলেম উদ্দিন ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। অপরদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী কলারোয়া থানায় একটি জিডি করেন। মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের মামলাটি কয়েক দফা খারিজ হয়ে যাবার পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর পুনরুজ্জীবিত হয়। পুলিশ ফের তদন্ত করে বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়। চলমান এই মামলায় বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহন চলছে। আজ নিয়ে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, তারা সাতক্ষীরার সরকারপক্ষের উকিলকে সহায়তা করতে ঢাকা থেকে এসেছেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি হবার কথা রয়েছে।