
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুলিয়ার চরবালিথায় ভ‚মিহীন সেজে সরকারী খাস জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। কুলিয়া ইউনিয়নের চরবালিথায় কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি নিজস্ব জমি থাকা সত্বেও সরকারী খাস জমি নিজ ও নিজ পরিবারের সদস্যদের দখলে রাখার জন্য বিভিন্ন ছলছাতুরী ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছে।
সূত্রে জানা যায় বালিথা মৌজার সাবেক এসএ ১০৪ এবং বর্তমান ১৮ দাগে ২ একর ৪০ শতক এবং সাবেক এসএ ১০৪ এবং বর্তমান ২৫ দাগে ৫ একর ৫০ শতক খাল ভরাটি সরকারী খাস জমি বারি সরদার, নুর আলী তার ছেলে কালাম ও সালাম, গনি সরদার ও তার ছেলে গোলাম সরদার, জোহর আলী ও তার ছেলে আ: মজিদসহ অনেকে জবর দখল করে রেখেছে। সাম্প্রতি সরকারের ‘জমি নেই, ঘর নেই’ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার উপজেলা ব্যাপি সরকারী খাস জমি খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, কুলিয়া ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারকে সাথে নিয়ে চরবালিথা খাস জমি পরিদর্শনে গেলে খাস জমি জবর দখলকারীদের গাত্রদাহ শুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে দখলকারীরা তাদের জবর দখলকৃত খাস জমি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মুজিবর্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার হিসাবে সরকারের ‘জমি নেই, ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় কুলিয়া ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১২ শতাধিক চিহ্নিত ভ‚মিহীন পরিবার জমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছে। যাচাই বাচাই শেষে ইউএনও মহোদয় ইউনিয়নের সকল খাসজমি চিহ্নিত করে তাদের পূর্নবাসন করবেন বলে আমি জেনেছি। চরবালিথায় যে সমস্ত ভ‚মিহীন পরিবার বসবাসরত আছে তাদের মধ্যে যারা প্রকৃত ভ‚মিহীন তারা অবশ্যই সরকারী বিধি অনুযায়ী ও ইউএনও মহোদয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জমি বরাদ্দ পাবেন।
এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চরবালিথায় সে সমস্ত প্রকৃত ভ‚মিহীন পরিবার অবস্থান করছে তাদেরকে রেখে সকল ভ‚মিহীন পরিবারের মাঝে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী সমহারে জমি বন্টনের চেষ্টা করবো।