উচ্চমাত্রায় শব্দ সৃষ্টিকারী ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ অবৈধ হাইড্রোলিক হর্ণ ও এলইডি লাইট ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড চত্ত¡রে জেলা পুলিশের আয়োজনে এ কর্মসূচির প্রথম দিনে ৮শ’ হাইড্রোলিক হর্ণ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। সাতক্ষীরাকে হাইড্রোলিক হর্র্ন মুক্ত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ সুপার বলেন, কোন দেশ কতটা সভ্য সেটা বোঝা যায় সেই দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা দেখে। উন্নত বিশ্বে হাইড্রোলিক হর্ন তো দুরের কথা তারা কোন হর্ন ব্যবহার করেন না। হাইড্রোলিক হর্ন মানুষের দৃষ্টি শক্তি, শ্রবণ শক্তি নষ্ট করে । এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ব্যবহারকারী। সম্প্রতি জেলাজুড়ে হাইড্রোলিক হর্র্ন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বন্ধে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করা হয়েছে এবং ৮শ’ শব্দ দুষণকারী হর্ণ এবং এলইডি লাইট জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। এখন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পরিবহনে নারীদের সম্মানের প্রতি শ্রমিকদের সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল বাস চালক ও চালকের সহযোগিদের হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার না করতে শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা পুলিশ সুপার।
সাতক্ষীরা শহরের মধ্যদিয়েই প্রধান দুটি সড়ক , সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ ও সাতক্ষীরা-খুলনা বহমান। তাছাড়া শড়কের দুপাশেই আবাসিক ও বানিজ্যিক এলাকা অবস্থিত। এখানে যখন হাইড্রলিক হর্ন ব্যাবহার হয় তখন হৃতপিন্ড প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শিশুর হার্ট ও মস্তিষ্কের মারাতœক ক্ষতি সাধন করে। এসকল বিষয়দি উপলব্ধি ও মুল্যায়ন করে জেলা পুলিশ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়। আমরা এহেন কর্মকান্ডের প্রতি অভিবাদন জানাই। সাথে সাথে “এখন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে” বলে জেলা পুলিশ সুপার যে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন তা যেন পুরনীয় হয় সেই কামনা করি।
আমরা জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদেরও এই কাজে পুলিশকে সার্বিক সহযোগীতা করার আহবান জানাই।
হাইড্রোলিক হর্নের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের অভিযান
পূর্ববর্তী পোস্ট