বিশেষ প্রতিবেদক: ঘুষ ও দূর্ণীতির মাধ্যমে চলছে তালা উপজেলার নির্বাচন অফিস। যে টাকা আগে দিবে তার কাজ আগে হবে। আর টাকা না দিলে তার কাজ হবে না।
এদিকে করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসের অযুহাত দেখিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের ছায়া কেউ দেখতে পায়নি দীর্ঘদিন যাবৎ। তবে অফিস সুত্রে জানা যায়, নির্বাচন অফিসার এক্সিডেন্ট করেছেন। এ সুযোগে অফিস সহায়ক (পিওন) আমানাত আলি এখন নির্বাচন অফিসার। অফিস চলাকালীন সময়ে নির্বাচন অফিসের প্রধান গেটটি তালা বদ্ধ অবস্থায় রেখে জানালার গ্রীল দিয়ে চলছে সকল অবৈধ কার্যক্রম। ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে দুর-দুরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষের। কোন দালালের মাধ্যেমে না আসলে আমানাত আলী অফিস বন্ধ বলে ফিরিয়ে দেন। টাকার বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে আসলে তাদের কাজটি দ্রæত সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিস মানেই আমানাত, আমানাত মানেই নির্বাচন অফিস। উপজেলা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর হতে একই জায়গায় দীর্ঘদিন চাকুরী করছেন পিওন আমানত। চাকুরি করার সুবাদে ধরাকে সরাজ্ঞান ভেবে রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে এই আমানাত। তার এ অপকর্ম কাজের সহায়তা করার জন্য এলাকার কিছু উঠতি বয়সী যুবকদের পুষেও রেখেছেন। এই যুবকরা সাধারণ মানুষের হয়রানী করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এইসব যুবকদের মধ্য নাম উঠে আসে তালার স্টিকার সাইদ বলে খ্যাত সাইদ সম্টেরার নাম। তিনিই হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ডের হর্তাকর্তা।
অভিযোগের বিষয় আমানত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি কিছু জানিনা। এ বিষয়ে সাইদ স¤্রাটের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কথা বুঝতে না পারার অযুহাত দেখান।
তালা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায়ের মুঠোফোনে আলাপন হলে তিনি জানান, আমানাত আমাদের অফিসের পিওন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমি শুনেছি, উপযুক্ত তথ্য প্রমান পেলে আমারা আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। তবে সাঈদ নামের কোন দালালকে আমি চিনিনা।