
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকাটিয়া এলাকার ইজিবাইক চালক রাজু আহম্মেদ। কোন উপসর্গ নেই তবে শরীরে করোনা পজেটিভ এসেছে এই ইজিবাইক চালকের। বাড়ি লকডাউনের আগে ইজিবাইকে চষেছেন সাতক্ষীরা শহর। তিনি দাবি করেছেন, এই রিপোর্ট ভুল।
রাজু আহম্মেদ শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। করোনা শনাক্ত হওয়া রাজু আহম্মেদ জানান, ১০ দিন আগে আমি বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। তারপর গত ৮ জুন হালকা সর্দি ও জ¦র হয়। ছোট ভাই নমুনা পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করে। তার কথায় ১০ জুন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে আসি। তারপর থেকে সর্দি, জ¦র নেই। সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছি।
তিনি বলেন, এখন রিপোর্ট এসেছে আমার শরীরে করোনা পজেটিভ। অথচ শরীরে কোন রকম কোন উপসর্গ নেই। আগের মতই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছি। নমুনা দেওয়ার পর শহরের ইজিবাইক চালিয়েছি, চায়ের দোকানে চা খেয়েছি, ঘুরে বেড়িয়েছি। অসুস্থ বোধ করছি না। আমি মনে করি, এই রিপোর্টটি ভুল এসেছে। আমার শরীরে করোনা নেই। গতকাল (সোমবার) বাড়ির সামনে লাল পতাকা তুলে লকডাউন করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ আসেননি।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সালাউদ্দীন জানান, মধ্যকাটিয়ায় করোনা আক্রান্ত হওয়া ওই ব্যক্তি একজন ইজিবাইক চালক। তার শরীরে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম তার বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক মুখপাত্র ডা. জয়ন্ত কুমার জানান, উপসর্গ ছাড়াই করোনা আক্রান্ত হতে পারে। আগামী ১৪ দিন পর পুনরায় ইজিবাইক চালক রাজুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। সে যদি দাবি করে রিপোর্ট ভুল তবে আবার পরীক্ষার পর সেটি জানা যাবে।
তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সাতক্ষীরা নুতন করে পাঁচ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ এসেছে। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৭ জন।