
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় নদীগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে। নদীর পানি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর উত্তাল ঢেউ। এদিকে, শেষ মুহূর্তে উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে প্রচার-প্রচারণা ও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা উপকূলীয় আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার দুই লাখেরও বেশী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মানুষের অনিহা রয়েছে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা জাহিদ সুমন জানান, শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী খোলপেটুয়া ও কালিন্দি নদীর পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন জানান, দেবহাটার ইছামতি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি উত্তাল হয়ে উঠেছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে নদীর পানি ও ঢেউ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ মুহূর্তেও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান পর্যন্ত ৯৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।