নিজস্ব প্রতিবেদক:
একক ব্যাক্তি কেন্দ্রিক ১১ জনকে নিয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সেচ্ছাসেবী টিম গঠন করেছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বিতর্কিত এ কমিটির নেতৃত্বে আছেন ডজন মামলার আসামী
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২১ মার্চ শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত এক পত্রে রমজাননগর ইউনিয়নের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করেন। কমিটির আহবায়ক হুমায়ূন কবির ডজন মামলার আসামী। সদস্য সচিব নুরুন্নবী আহবায়ক হুমায়ূন কবিরের আপন ভাগ্নে। সেও হত্যা প্রচেষ্টা মামলারও আসামী। হুমায়ূন কবিরের আপন ভাগ্নে আসাদুজ্জামান বাবু কমিটির সদস্য। কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান দোলন ও সাইফুল ইসলাম হুমায়ূন কবিরের আপন চাচাতো ভাগ্নে।
১১ সদস্যের কমিটির মধ্যে হুমায়ুনের ভাগ্নে চারজন। অপরদিকে কমিটির অপর সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন হুমায়ুন কবিরের নিউজ পোর্টাল নয়াডাকের কার্ডধারী। আত্মীয়-স্বজন ও নিজ নিউজ পোর্টালের কার্ডধারীদের নিয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সেচ্ছাসেবী টিম গঠন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত ৫ মে ইফতারের ১৫ মিনিট আগে কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ৫জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলো জিএম আল ফারুক (৭৩ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সমাজ কল্যাণ সম্পাদক), আল ফারুকের পুত্র কামরুজ্জামান লিটন ও শহীদুজ্জামান লিয়ন। ভাই জি এম আল মামুন এবং ভাইপো আব্রাহাম লিংকন। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় হুমায়ূন কবির ও নুরন্নবী সহ ১১ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে, যার নাম্বার ০৫, তারিখ ০৫/০৫/২০২০ইং। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত টিমকে কেউ মামা-ভাগ্নের কমিটি কেউবা হুমায়ূন কবির গং কমিটি হিসাবে আখ্যায়িত করছেন। এই টিমের দু’জন সদস্য ঢাকা ফেরত একাধিক ব্যাক্তির কাছে গিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছে যার ভিডিও সাতনদীর হাতে এসেছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।