
আগামী ৩১মে পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণে মারা যেতে পারে এক হাজার মানুষ। এমনটাই জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
রোববার (৩ মে) বেলা ১২টায়, সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে একথা জানায় আইইডিসিআর। বৈঠকে অংশ নেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, এফবিসিসিআই এবং পুলিশের আইজিসহ আইইডিসিআর এর কর্মকর্তাবৃন্দ। বৈঠকে প্রতিটি কারখানায় মেডিক্যাল টিম গঠন, কর্মক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে সুচিকিৎসাসহ জাতীয় কমিটির কাছে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পরে ব্রিফিং এ জানানো হয়, নির্দেশিকা মেনে চলার শর্তে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানাগুলোকে চালু করার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে কর্মরত অবস্থায় কেউ করোনা সংক্রমিত হলে তাদের যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের আনা নেওয়ার জন্য গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বল জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রতিটি কারখানায় একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করে তাদেরকে জাতীয় কমিটির কাছে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ আক্রান্ত হয় তার উপর বিবেচনা করে জাতীয় কমিটি ব্যবস্থা নেবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, মোট করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯,৪৫৫ জন। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন গত ৮ই মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ই মার্চ।
পূর্বপশ্চিমবিডি