সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের হবদেশ গ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে হাবিবুর রহমান (১৬) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী মো. ময়নাল হক (৪০)। পুলিশ ও আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে এসব তথ্য জানান জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার।
তিনি বলেন, ময়নাল হকের স্ত্রীর সঙ্গে ওই ছাত্রের পরকীয়ার সর্ম্পক গড়ে ওঠে। হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ আগে ওই ছাত্রের সঙ্গে তার স্ত্রী পালিয়ে যান। তখন বিষয়টি ভ্যানচালক স্বামী ময়নাল হক জেনে যান। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়0 ঝগড়া হতো। এতেই তিনি ওই ছাত্রকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রকে ডেকে আনা হয়। রাত ১টার দিকে বাড়ির কাছেই শিল্পাঞ্চলের একটি খোলা মাঠে নিয়ে ওই ছাত্রের হাত-পা বেঁধে ছুরি দিয়ে গলা কাটা হয়। পরে মরদেহ মাঠের কাছেই বামনজি বিলে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর ২২ মার্চ জামালপুর সদর উপজেলার বামনজি বিল থেকে পুলিশ মাথাবিহীন ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, পরে নিহত ছাত্রের বাবা জাহান উদ্দিন ২৩ মার্চ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৫ মার্চ ময়নাল হককে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরকীয়ার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা ছাত্র হাবিবুর রহমান বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা ২৭ ফেব্রুয়ারি জামালপুরের নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেন। কিন্তু গত এক মাসেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের বামনজি বিলের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ।