
আকরামুল ইসলাম : জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে পূর্ণ সচিব হয়ে বাংলাদেশ স্টীল ও প্রকৌশলী কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান শেখ মিজানুর রহমান। দ্রুত সময়ের মধ্যেই নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন তিনি। সম্প্রতি এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে শেখ মিজানুর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে পদোন্নতি দিয়ে স্টীল ও প্রকৌশলী কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করা হয়।
শেখ মিজানুর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের জোড়দিয়া গ্রামের শেখপাড়া গ্রামের শেখ দেলদার রহমানের ছেলে ও মরহুমা জাহানারা খাতুনের সন্তান। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে শেখ মিজানুর রহমান জৈষ্ঠ। মেঝো ভাই শেখ তৌহিদুর রহমান ঘের ব্যবসা করেন। ছোট ভাই শেখ আমিনুর রহমান রুপালি ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিএম। বর্তমানে গুলশান শাখার কর্পোরেট শাখার ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন।
শেখ মিজানুর রহমান ও স্ত্রী আশুরা পারভীন দীপার দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে তানজিনা আইরিন দ্বীপ্তি বুয়েট থেকে প্রকৌশলী হয়ে ঢাকাতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছেন। জামাতা শিপিং কর্পোরেশানে চাকুরী করেন। ছোট মেয়ে তাসনিমা তাজরিন ইস্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শিক্ষার্থী। জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল হকের জামাতা শেখ মিজানুর রহমান।
১৯৭৭ সালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা বহুমুখী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে। মামার বাড়ি পাটকেলঘাটায় কেঁটেছে তার দীর্ঘ সময়। ১৯৭৯ সালে সরকারি কলেজ থেকে বানিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাশ করে খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম পাশ করেন শেখ মিজানুর রহমান।
এরপর বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে সৈয়দপুরের সহকারি কমিশনার হিসেবে চাকুরিজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খুলনা, ইউএনও আমতলী, কুষ্টিয়ায় এডিএম, উপসচিব হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, গণপুর্ত, ত্রান ও পূর্নবাসন, যুগ্ম সচিব হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রানালয়ে সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব থেকে পূর্ন সচিব হয়ে বাংলাদেশ স্টীল ও প্রকৌশলী কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও (পদোন্নতি প্রাপ্ত বাংলাদেশ স্টীল ও প্রকৌশলী কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান) শেখ মিজানুর রহমান বলেন, মাটি ও মায়ের প্রতি ভালোবাসা সবার থেকেই যায়। সাতক্ষীরার মানুষ হিসেবে সুযোগ পেলে সাতক্ষীরার উন্নয়নের শরীক হওয়ার চেষ্টা করবো সব সময়। সাবেক মন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক তিনি সাতক্ষীরার উন্নয়ন করেছেন। চারজন এমপি সাতক্ষীরার উন্নয়ন ও উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সুযোগ পেলে আমিও এদের সঙ্গে শরীক হবো, চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকলের কাছে দোয়া চাই যেন সুস্থ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে পারি।