
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: প্রতিবছরের ন্যয় এবারও ২৬ জানুয়ারী থেকে সুন্দরবনে গোলপাতা আহারণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। সুন্দরবনের সমস্ত সম্পদ সরকারি ভাবে ক্রয় বিক্রয় বন্ধ থাকলেও গোলপাতা আহারণ চলমান রয়েছে। এর আগেও গরান কাঠ আহারণের অনুমতি দিতো বন বিভাগ। গত ২০০৬ সাল থেকে তা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়, জলচ্ছাসে ও মাটির পলি পড়ে গোলপাতা নষ্ট হয়ে যায়। সেকারণে বিভিন্ন মন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালি মাধ্যমে সরকার গোলপাতা আহারণ সরকারিভাবে চালু রেখেছে। পশ্চিম সুন্দরবনের ৪টি স্টেশন যথাক্রমে কৈখালী, কদমতলা, বুড়িযোয়ালীনি ও কোবাতক স্টেশন থেকে ২৬ জানুয়ারী ২০২০ এক যোগে গোলপাতা আহারণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গোলপাতা আহারণ তদারকির জন্য জনাব নাসির উদ্দীন (ফরেস্টার)কে সাতক্ষীরা রেঞ্জের গোলপাতা কুপের কুপ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি গতকাল এই প্রতিবেদককে জানান, সবে মাত্র গোলপাতা আহারণের জন্য বাওয়ালীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। কারণ, নৌকা মেরামত করতে তাদের বিলম্বের কারণে সুন্দরবনে প্রবেশেও ঢুকতে বিলম্ব হয়েছে। সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এমএ হাসান জানান, এ অর্থবছরে ১শ কুইন্টাল গোলপাতার রাজস্ব নির্ধারণ হয়েছে ২৫শ টাকা। অতিতে এ গোলপাতা আহারনে অনেক দূর্নীতি অপকর্ম শোনাগেলেও এবার কোন প্রকার অপরাধ বা দূর্নীতির কথা শোনা যাবেনা বলেও তিনি জানান।