
প্রাকৃতিক সম্পদ বাচাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা
এস কে সিরাজ, শ্যামনগর থেকে।। দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পরে পাশ পারমিট নিয়ে উপকুলীয় এলাকার জেলেরা মাছ কাকড়া ধরতে সুন্দরবনের গভীরে প্রবেশ করেছে।তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকায় মাছ কাকড়ার প্রজনন অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের সর্বত্রে খাল নদীনালা ঝরনা সহ চর এলাকায় জেলেদের জালে পড়ছে প্রচুর মাছ কাকড়া।তবে অধিক মাছের আশা বা লোভে পড়ে জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে।সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলে গাবুরার চাদনীমুখা গ্রামের কাশেম গাজী বলেন,অধিকাংশ জেলেরা সুন্দরবনের খালের ভিতরে বিষ ছিটিয়ে দিয়ে মাছ ধরছে,বিষ দিলে বেশী পরিমান মাছ পাওয়া যায় কিন্তু রেনু মাছগুলো একেবারেই মারা যায়, তিনি আরো বলেন, জেলেরা অতি লোভের কারনে এমনটি করে থাকে।শ্যামনগরের সিনিয়র সাংবাদিক উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এস কে সিরাজ বলেন, সরকারী ভাবে তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ রাখা হলো মৎস্য সম্পদ বাড়ানোর জন্য কিন্তু বনে প্রবেশ করেই যদি বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়, তাহলেতো কোন লাভ হবে না,এভাবে বিষ দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ না করা গেলে প্রাকৃতিক সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ একেবারেই হারিয়ে ফেলবো আমরা, মাঝে মধ্যে আমরা দেখছি বন বিভাগ ও কোষ্টগার্ড বিষের বোতল,কারেন্ট জাল সহ জেলেদের কে আটক করছে, তবে শুধু মাছ নয় সুন্দরবনের মায়াবী হরিন ও শিকার করা হচ্ছে বিষ দিয়ে, এবিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান করছি কর্তৃপক্ষকে। এদিকে সাতক্ষীরা রেন্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, বনবিভাগের পক্ষ থেকে আমরা নিয়মিত সুন্দরবনে টহল দিচ্ছি, এছাড়া জেলেদের এ ধরনের কাজ থেকে সব সময় বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, এধরনে কোন তথ্য পেলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

