নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে অবৈধভাবে গরাণ কাঠ কাটার অভিযোগে নৌকাসহ তিন জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত স্মার্ট পেট্টল টিমের সদস্যরা। রোববার বেলা ১১টার দিকে স্মার্ট পেট্টল টিমের দলপতি গলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোঃ মনিরুদ্দীনের নেতৃত্বে অভিযানে সুন্দরবনে মাইটভাঙ্গা এলাকা থেকে ৩টা নৌকা সহ জেলে আটক করে।
আটককৃত তিন জেলে হলেন শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের ইসলাম গাজীর ছেলে হাফিজুর গাজী, কালিঞ্চী গ্রামের মকবুল হোসেন গাজীর ছেলে রাশিদুল গাজী ও সোরা গ্রামের সহর আলী মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা।
তবে কাঁকড়ার আটল ৪০/৫০ ও ২ টা গরাণ কাঠের নৌকা আটক করলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একই সময় আটক করা পার্শেখালী গ্রামের কাওছার গাজী, তাছলিমার, জহুরুল গাইন, সাঈদ হোসেনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আটকের পরিবারের পক্ষ থেকে বিলাল হোসেন বলেন, হাফিজুর গাজী বৈধ পাশ নিয়ে সুন্দরবন প্রবেশ করলে ফেরার পথে মাইটভাঙ্গা থেকে বনবিভাগের লোক জন ধরে নিয়ে আসে। কৈখালী ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা নাসির হোসেন বলেন, এসি এফের ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে। টাকা না দিতে পারায় তাদের আটক করে রাখে।
ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লান্টু বলেন, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ টা নৌকা ও রমজাননগর ইউনিয়নের ১ টা নৌকা আটক করলে। রমজাননগরের নৌকা ছেড়ে দেওয়ার জন্যে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়া তাদের কে আটক করে।মুন্সীগঞ্জের গরাণ কাঠ সহ ২ নৌকা ছেড়ে দেয়।
কৈখালী ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা নাসির বলেন, একটা নৌকা সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ২ টায় নৌকার অবৈধ আটল থাকায় আটল গুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয় ও কাঠ গুলো উদ্ধার করা হয়। তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন টা কেটে দেন। এ বিষয় সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান কে ফোন দিলে রিসিভ করেন নি।