
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের ব্যাংদহা বাজারে সরকারি জমি থেকে রাতের আঁধারে গাছ কর্তন ও কার্যাদেশ না পেয়ে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করার প্রতিবাদে ও উক্ত ঘর উচ্ছেদসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক গণশুনানী থেকে ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য লিখিত নির্দেশও দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনয়নের জোড়দিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত তার লিখিত আবেদনে জানান, গত ১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে জোড়দিয়া গ্রামের শেখ আবুল খায়েরের ছেলে শেখ আজিজুর রহমান ফিংড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে সরকারি গাছ কর্তন করে। এরপর সেখানে ঈদের লম্বা ছুটিতে তিনি অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজও প্রকাশিত হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ঘর নির্মানকালীন সময়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরি, উপজেলা ভুমি সহকারী কমিশনার রনি নুর হোসেন ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পায় নাই। এমতাবস্থায় তিনি এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। এর আগে এ ব্যাংদহা বাজারের ইজারাদার ছরোয়ার আজাদ ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার দাশ অবৈধভাবে সরকারী গাছ কর্তনের বিরুদ্ধে গত ৬ আগষ্ট সহকারী কমিশনার (ভুমি), সাতক্ষীরা সদর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, অবৈধভাবে কে বা কারা সরকারী গাছ কর্তন করেছে তা আমি জানিনা। তবে এ বিষয়ে আমার উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। গাছের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেখানে দোকান ঘর নির্মান করতে দিলেন কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই জায়গাটি আজিজুর রহমান সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছে। তবে, সে দোকান ঘর নির্মানের কার্যাদেশ পেয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানান।