
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৬০ বোতল ফেনসিডিল ও ৩০ বোতল ভারতীয় মদসহ সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।
অদ্য ০৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধীনস্থ ভোমরা, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, মাদরা, হিজলদী, চান্দুরিয়া বিওপি এবং ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৬০ বোতল ফেনসিডিল ও ৩০ বোতল ভারতীয় মদসহ সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় ঔষধ, সবজির বীজ ও শাড়ি আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির এর আভিযানিক দল মেইন পিলার-৩/৫ এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০/- ভারতীয় ঔষধ আটক করে। তলুইগাছা বিওপির এর আভিযানিক দল মেইন পিলার-১৩ হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন চারাবাড়ি বাশবাগান নামক স্থান হতে ৩০,০০০/- টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ৫ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ৭০,০০০/- টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। মাদরা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩ এস এর ৭ ও ৮ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০-৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ফুলতলা বাজার ও চান্দা নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০/- টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। হিজলদী বিওপি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৩/৪ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন শিশুতলা নামক স্থান হতে ৩৫,০০০/- টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। চান্দুরিয়া বিওপি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার-১৭/৩ এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন গোয়ালপাড়া নামক স্থান হতে ৯৪,০০০/- টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ ও শাড়ি আটক করে। এছাড়াও, ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের বিশেষ আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন গোবিন্দকাঠী নামক স্থান হতে ১,৪০,০০০/- টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
সর্বমোট ৫,৫৪,০০০/- (পাঁচ লক্ষ চুয়ান্ন হাজার) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।
চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

