
# অর্ধশত কৃষকের ক্ষতি কয়েক লক্ষ টাকা
# জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিসার, বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবর আবেদন করেও প্রতিকার মেলেনি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বোরো আবাদে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প থেকে পানি সরবরাহে বাঁধা দেওয়ায় অর্ধশত কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পায়নি সেচ পাম্প মালিক হাবিবুর রহমান। সরোজমিন ঘটনাস্থল আশাশুনি উপজেলার দাঁদপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় সেচ পাম্পের মালিক হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, সরকারী নীতিমালা অনুসরন করে আশাশুনি উপজেলার সেচ কমিটি বারবর লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। তদন্ত পূর্বক নীতিমালা অনুসরন করে তাকে ০২/২৫ নং লাইসেন্স প্রদান করা হয়। বোরো আবাদের শুরুতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি সিরাজুলের নেতৃত্বে একটি বাহিনী পানি সরবরাহে বাঁধাসৃষ্টি করে। এতে করে ওই সেচপাম্পের অধিনে অন্তত ৫০ জন কৃষক তাদের বোরো আবাদে পানি নিতে না পেরে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার কৃষি ও সবজি ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেনা। পানি সরবরাহে বাঁধা প্রদানকারীরা হল দাদপুর গ্রামের রুপচাঁদ সরদারের পুত্র সিরাজুল ইসলাম ও ওজিয়ার রহমান, সোহরাব আলী সরদার, সোহরাব আলীর পুত্র ইদ্রিস, ইউনুস ইলিয়াস, চাঁদ সরদারের পুত্র ছাফেত ও তার ৩ পুত্র। বুধহাটার গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র মাহাবুর রহমান পানি সরবরাহে বাঁধা সৃষ্টি করায় এসব ব্যাক্তির বিরুদ্ধে হাবিবুর রহমান গত ৮ জানুয়ারি উপজেলা সেচপাম্প কমিটির সভাপতি ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারবার আবেদন করলে ওই দিনই তিনি তা তদন্তের জন্য সেচ কমিটির সদস্য কৃষি অফিসারকে তদন্তভার প্রদান করেন। কিন্তু তা তদন্ত না করে ফেলে রাখা হয়। পরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাবিবুর রহমান প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ৪ ফেব্রুয়ারি পত্র দেন। পরে হাবিবুর রহমান আবারো প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি অফিসার, জেলা কৃষি অফিসার ও জেলা বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন। এই আবেদন তদন্ত না করে ফেলে রাখা হয়। গত ৫ মার্চ তারিখে উপজেলা কৃষি অফিসার ও বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী ইবনেসিনা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। তিনি তদন্ত করে দীর্ঘ কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও আজও কোন সিদ্ধান্ত দেননি। ফলে অর্ধশত প্রান্তিক কৃষক বারো আবাদাঞ্চল সেচ দিতে পারছেনা। এতে করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। অপরদিকে উপজেলা সেচ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসারে লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি সেচপাম্পের ৭০০ মিটারের মধ্যে অন্য কোন বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প বসানোর সুযোগ না নেই। কিন্তু ওজিয়ারের পুত্র রাসেল, চাঁদ আলীর পুত্র ছাপেত সহ ৫ জন অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে সেচ পাম্প চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে বুধহাটা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম তায়জুল ইসলাম ও পাটকলঘাটা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবর আবেদন দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি হাবিবুর রহমান।