প্রমথ রঞ্জন সানা, পাইকগাছা থেকে: সরকারী আইন উপেক্ষা করে সড়কের দুই পাশে অপরিকল্পিত ভাবে বেশ ক’টি মৎস্য লীজ ঘের গড়ে উঠেছে। সড়কটি ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে লীজ ঘেরের মালিকেরা। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা মৎস্য ঘেরের কারণে ভাঙছে সড়ক। সরকার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর, লতা, দেলুটি, লস্কর ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি সড়কের এমন চিত্র দেখা যায়। দুই পাশে মাছের ঘের। মাঝ দিয়ে গেছে সড়ক। এতে সড়কগুলো অনেকটা মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধের কাজ করছে। মাছের ঘেরের পানির ঢেউয়ের তোড়ে সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে গেছে। কোথাও ধ্বসে গেছে। ১৮ ফুটের রাস্তা ভেঙে ৩ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। কোথাও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৩ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরজমিনে দেখা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের নিমাইখালী রাস্তা (সবুর রোড)। এই রাস্তাটি ১৮ ফুট চওড়া ছিল। যে রাস্তা দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি হয়ে পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী, গদাইপুর, লতা ও দেলুটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে মানুষ লতা, দেলুটি ও গদাইপুর ইউনিয়নের বিলান জমিতে ধান ও মাছ চাষ করে গাড়ীতে করে আনা নেয়া করতো। কালের বিবর্তনে আজ নিমাইখালী (সবুর রোড) ১৮ ফুটের রাস্তা হারিয়ে যেতে বসেছে। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে এই রাস্তার দু’পাশে কচুবনিয়া, বয়রা, কুলতলা, ভেটকা, ঘোষাল মৌজায় এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মৎস্য চাষ করলেও সরকারি বিধি মতে রিং বাঁধ দেয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখায়ে চলেছে। নেই কোন বিকল্প বাঁধ। যে কারণে রাস্তাটি ভাঙতে ভাঙতে ১৮ ফুটের রাস্তা ৩ ফুটে দাঁড়িয়েছে। ইতিপূর্বে রাস্তাটি গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ কিছুটা ইটের সলিং রাস্তা করলে পানির তোড়ে মাটি সরে কোথাও কোথাও ধ্বসে পড়েছে। ইউপি সদস্য আবুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইটের সলিং রাস্তা করার জন্য ৩ লক্ষ্য টাকা বরাদ্দ দিলেও প্রকল্পের সভাপতি কাজ করতে পারছে না। কারণ ১৮ ফুটের মাটির রাস্তা কোথাও ৩-৪ ফুট চওড়া রয়েছে। মৎস্যঘের মালিকদের উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সরকারী রাস্তা পাশ দিয়ে গাইড লাইন রাস্তা করে তাদের ঘের করার সিদ্ধান্ত থাকলেও অদ্যাবধি কেউ মেনে চলেনি। সেজন্য নিমাইখালী রাস্তার দু’পাশে রিং বাঁধ দিয়ে ইটের সলিং এর রাস্তা করার জন্য জরুরি ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরকারী রাস্তা মৎস্যঘেরে, জনদুর্ভোগ চরমে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
পূর্ববর্তী পোস্ট