
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ইটাগাছায় সংখ্যালঘু পরিচয়ে অন্যায় ও অবৈধভাবে পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, ভুক্তভোগী শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত জিয়াদ আলী মোল্যার স্ত্রী জামেলা খাতুনসহ তার চার কন্যা ফরিদা, জাহানারা, রাশিদা ও মনোয়ারা। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মনোয়ারা খাতুন।
তিনি বলেন, শহরের পলাশপোল মৌজার এস.এ ২৭৫২ নং খতিয়ানে ইব্রাহিম ও গহর আলীর অংশ হতে ইং ০২/০৮/৭১ তারিখে বখতিয়ার হোসেন ৯২ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল থাকা অবস্থায় উক্ত সম্পত্তি সমীর রায়ের কাছে বিক্রয় করে। সমির রায় উক্ত সম্পত্তি ভিন্ন ভিন্ন দলিলে শওকত আলী ও নূরুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করেন। শওকত ও নূরুল ইসলাম উক্ত সম্পত্তির ১৩৯৯০ দাগের জমির মধ্য হতে ৫কাঠা জমি জিয়াদ আলীর নিকট বিক্রয় করেন। উক্ত সম্পত্তি দখলে থাকা অবস্থায় জিয়াদ আলী ২ পুত্র, ১ স্ত্রী ও ৪ কন্যা রেখে মৃত্যুবরণ করেন। জিয়াদ আলীর মৃত্যুর পর জিয়াদ আলীর স্ত্রী ও ৪ কন্যা ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তাদের অংশ থেকে ৪.৬৪ শতক জমি রেকসনা বরাবর দানপত্র কোবলামূলে হস্তান্তর করেন।
এদিকে শওকত ও নূরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তাদের ওয়ারিশগণ জিয়াদ আলীর কাছে বিক্রিত সম্পত্তি অবৈধভাবে মৃত সনাতন সাধুর পুত্র মহাদেব সাধুর কাছে বিক্রয় করেন। মহাদেব সাধু উক্ত সম্পত্তির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে অবৈধভাবে লোভ ও লাভের বশবতী হয়ে স্বল্প মূল্যে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করেন। অথচ ২৩/১১/৮৫ তারিখে শওকত ও নুরুল ইসলাম সম্পূর্ণ বৈধভাবে উক্ত সম্পত্তি জিয়াদ আলীর কাছে বিক্রয় করেন। এরপর জিয়াদ আলীর নিজ নামে ৫২৫/৮৮-৮৯ নং নামপত্তন কেসে নামপত্তন করত:২৭৫২/১/১ নং খারিজ খতিয়ানে নিজ নামে নাম পত্তন করত: ৬১৯৯ নং হোল্ডিং খুলে মালেক সরকারের সরকারি খাজনাদি প্রদানে খাসে স্বত্ববান ও ভোগদখলিকার হয়ে থাকেন।
কিন্তু তারপরও উক্ত সম্পত্তি মহাদেব সাধু অবৈধভাবে শওকাত আলীর ওয়ারেশদের নিকট হতে খরিদ করে ফরিদা, জাহানারা, রাশিদা, মনোয়ারা এবং তাদের মাতা জামেলা খাতুন এর জমিতে জোরপূর্বক ও বেআইনীভাবে দখল করার জন্য তার ভাড়াটিয়া বাহিনী ইটাগাছা গ্রামের মারজানের পুত্র চিহ্নিত ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, দালাল কাশেম, আকছেদ আলীসহ সন্ত্রাসী বাহিনীরা আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এছাড়া আমাদের ভাই কাদের ও ওয়াজেদ বোনদের সম্পত্তি ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত বাহিনীর সাথে ষড়যন্ত্র করে তাদের অবৈধ দখলে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আইন ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কাশেম বাহিনী উক্ত সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে ঘর নির্মান করার চেষ্টাও করে আসছে। অথচ উক্ত সম্পত্তি নিয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ কোর্টে একটি মামলাও রয়েছে। উক্ত মামলায় মহাদেব সাধুর বিরুদ্ধে শোকজের আদেশও হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় আবেদন কিরলে থানা কর্তৃপক্ষ নালিশী জমিতে তাৎক্ষনিকভাবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে অবগত করলেও মহাদেব সাধু তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় আইন ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তা দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন।
এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। আমরা আশংকা করছি মহাদেব সাধু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর উক্ত নালিশী জমিতে যে কোন সময় দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটাতে পারে। এমতাবস্থায় উক্ত মহাদেবসহ কাশেম ও আকছেদ বাহিনীর হাত থেকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করতে এবং নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মনোয়ারার মা জামেলা খাতুন, বোন ফরিদা, জাহানারা ও রাশিদা