
নিজস্ব প্রতিবেদক: একের পর এক বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হলো উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে বিতর্কিত নির্বাচন শেষ হয়।
দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশের মধ্য দিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হতো। বর্তমান সভাপতি বিগত ১০ বছর ধরে অভিভাবকদের সম্মতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি আবার এই স্কুলের জন্য জমি দাতা ও আজীবন সদস্য। ধর্নাঢ্য এ ব্যক্তিকে সরিয়ে লুটপাট করে খাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি চক্র বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে সভাপতিকে কিছু না জানিয়েই নির্বাচনটি সম্পন্ন করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন সকালে নির্বাচনের খবর পেয়ে তিনি স্কুলে গেলে প্রিজাইডিং অফিসার নাহিদা আক্তার তাকে বের করে দেন। যা অস্বীকার করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার।
উত্তর কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, আজ স্কুলে ভোট। আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। চরম অপমান করে আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে। বলা হয় আপনাকে কোন প্রয়োজন নেই। আমি স্কুলের সভাপতি আছি। আমি কোন রেজিগনেশন দেইনি। আমাকে কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। এই ভোটটি সম্পূর্ন অনিরপেক্ষ ভোট হয়েছে। আমাকে কোন কিছু দেখতে দেয়া হয়নি। আমাকে হেডমাস্টারের রুমে বসিয়ে রেখে বের করে দেয়া হয়েছে। আমাকে হেয় করে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে যার কোন ভিত্তি নেই। পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরদের নিয়ে শালিষ হয়েছে তারপরও তারা এভাবে নির্বাচনটি করলো। এই স্কুলটা সুন্দর একটি স্কুল। পরিবেশও সুন্দর। স্কুলের সুন্দর পরিবেশটি নষ্ট করার জন্য স্কুলের একজন শিক্ষীকার স্বামীয় পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। যেন স্কুলটি লুটেপুটে খেতে পারে।