
জাতীয় ডেস্ক:
সংযোগ সড়ক না হওয়ায় কাজে লাগছে না কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মধ্যে সংযোগকারী বহ্নি নদীর ওপর নির্মিত সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সেতু। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে দুই জেলার মানুষকে। তবে জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সেতুর একপাশে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়ন, অপর পাশে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেহপুর। দূরত্ব কমিয়ে দুই জেলার মানুষের সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে নদীর ওপর ১৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মূল সেতুর কাজ। নেত্রকোনা অংশ সংযোগ সড়কও হয়েছে। তবে কিশোরগঞ্জ অংশে মাটি ভরাট ও অ্যাপ্রোচ সড়ক না হওয়ায় কোনো কাজে আসছে না গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি। দীর্ঘদিন অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে সেতুর নিচে মাটি ফেলে কোনো রকমে যাত্রী ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে দুই জেলার মানুষকে। দ্রুত সেতুটি চলাচলের উপযোগী করে দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ৫০-৬০ কেজি ওজনের সবজির বস্তা এ পথ দিয়ে বয়ে নেয়া খুবই কষ্টসাধ্য। এ সেতুর পরে শুরু হওয়া অনেক সেতু দিয়ে এখন গাড়ি চলছে। অথচ এ সেতু নির্মাণ হয়েও তাদের কোনো কাজে আসছে না। বরং বেড়েছে ভোগান্তি। তাদের দাবি, দ্রুত এ সেতু চালু করে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা হোক।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাড়াইল উপজেলার ধলা প্রান্তে ২ দশমিক ৪৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় মাটি ভরাট ও অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে অচিরেই সব জটিলতা কাটিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ ও অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।’
জানা গেছে, পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বহ্নি নদীর ওপর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। দু-বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে এক বছর আগে।