
আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনিতে কন্যা হত্যা মামলায় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ওলামা লীগ নেতা ইয়াহিয়া অর্থ বাণিজ্যের টাকা ফেরত দিতে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজাহারের নকল উঠিয়ে ৪ জনের পরিবর্তে ২ জনের নাম দেখে হতাশ মামলার বাদি রেশমা খাতুন ও তার মা তাছলিমা খাতুন। তাদের বক্তব্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকার সচেতন মহল এমন কাজকে নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামে কন্যাকে হত্যার অভিযোগে পিতা ও সৎ মাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ পিতা কাজল গাজী ও সৎ মা রওশনারাকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকান্ডের শিকার কাকলি আক্তার মেরীর মা ও নানী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে চাইলেও বাদীর অজ্ঞাতে মোস্তফা আবু ইয়াহিয়ার ছলনায় ২ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
মামলা (নং ১৭ তাং ২৪/৭/২৫) সূত্র, মামলার বাদী রেশমা খাতুন মোবাইলে এবং নিহতের নানী সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জানান, বাদীর স্বামী ১নং আসামী কাজল গাজী ও ২নং আসামী বাদীর সতীন রওশনারা খাতুন যোগসাজস করে বাদীকে ও তার দুই সন্তানকে ৮/৯ বছর আগে থেকে খাওয়া পরা না দেওয়ায় পরের বাড়িতে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে বাদী সন্তানদের নিয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত একমাস পূর্বে কাকলীকে তারা বিয়ে দেয়। এতে কাজল ক্ষিপ্ত হয়ে কাকলীকে জোর পূর্বক নিজের বাড়িতে নিয়ে জিম্মী করে রাখে। বিয়ের ১৫ দিন পর গত ৮ জুলাই ভীতি প্রদর্শন করে কাকলীকে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ২৩ জুলাই বিকালে কাজল ও রওশনারা সহযোগিদের সহযোগিতায় কাকলীকে মারপিট ও হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচার দেয়। এব্যাপারে মা রেশমা খাতুন বাদী হয়ে কাজল, রওশনারা, মতি গাজী ও শাহিনকে আসামী করে মামলার প্রস্তুতি নিলে তাদের সাহায্য করতে আসা ওলামা লীগ নেতা আবু ইয়াহিয়া তাদের অজান্তে মতি গাজী ও শাহিনের নাম বাদ দিয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেন। রেশমা ও সুফিয়া খাতুনকে তাদের সকলের নাম দিয়েছে বললেও আসামীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দুজনের নাম বাদের ব্যবস্থা করে বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, মামলার পর নকল পেতে চাইলেও নানা ছলনা করে পেতে দেয়নি। রবিবার জানতে পারি দুজনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। আমরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে দাবী জানাচ্ছি।অভিযুক্ত আবু ইয়াহিয়া জানান, ভাই ঘটনা ওরকম না, বয়স হয়েছে,বিষয়টা বাদ দেন। অথচ খবর প্রকাশের পর তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে তদবীর শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।