
আব্রাহাম লিংকন/জিয়াউর রহমান, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের নিদয়া গ্রামে রাতের আধারে কবর হতে মৃত তরুনীর মরদেহ উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের নিদয়া গ্রামের মোঃ খোরশেদ আলমের কন্যা তানজিলা খাতুন মুন্নি (১৫) দীর্ঘদিন মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যায়। পরিবারিক ভাবে ইসলামিক নিয়ম অনুসারে ওইদিন রাতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তার লাশটি কবর খুঁড়ে উপরে রেখে যায়। এসময় কাফনের কাপড়টি ছেঁড়া পাওয়া যায়। শুক্রবার ২৭ আগস্ট সকালে বিষয়টি স্থানীয় মানুষ দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে অবগত করে। এসময় কবরের পাশে স্থানীয় শত শত মানুষের ভীড় জমাতে থাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য অসিম মন্ডলকে অবহিত করে। কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেউ শত্রæতা মূলক এমন ঘৃণিত কাজ করতে পারে। পরবর্তীতে পুনরায় তরুনীর মরদেহ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে যে, তানজিলার মা সফুরা বেগম একই এলাকার সুরত আলীর পুত্র আমজাদ আলীর হাত ধরে ভারতে পাড়ি দেয়। ভারতে দীর্ঘ ৯ মাস কাটানোর পরে মেয়ে তানজিলার শারিরীক অবস্থার কথা জানতে পেরে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে আমজাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রথম স্বামী খোরশেদের সংসারের চলে আসে। তারপর থেকে আমজাদ বিভিন্ন ভাবে সফুরাকে হয়রানি করে আসছে।
এ বিষয় সফুরা বেগম বলেন, আমজাদ আলীই কবর থেকে আমার মেয়ের লাশ তুলে কাফনের কাপড় কেটে নিয়ে যেতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য আমজাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।