
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে বিগত ১০ বছর ধরে চলন্তিকা সোসাইটি নামে ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বেসরকারি একটি সংস্থা খুলে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দিগুন মুনাফার আশ্বাসে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ২ কোটি টাকা হাতানোর সহযোগীতা করেন সিংহড়তলী গ্রামের অরবিন্দু মন্ডলের পুত্র রথীন্দ্র নাথ মন্ডল ও তাপস মন্ডল। ডাক্তার রফিকুল ইসলাম খুলনার শির্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। এরশাদ শিকদারের পতনের পর শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে চলে আসেন। তার পিতার নাম কেয়ামন্দীন শেখ। সে খুলান থেকে ফিরে এসে তৎকালীন ৪ দলীয় জোটের এমপি গাজী নজরুলের একান্ত সহযোগী হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেন। সেখানেও এলাকার মানুষের শালিষ বিচারসহ নানা অভিযোগে গড়ে তোলে আলীশান বাড়ী সহ অট্টলিকা। ২০০৯ সালে জামাত বিএনপি পতনের পর ২০১০ সালে গড়ে তোলে চলন্তিকা নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। দিগুণ মুনাফর প্রলভন দেখিয়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে তার সহযোগীদের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। ২০১৮ সালে চলন্তিকা নামের সংস্থাটির বিভিন্ন এরিয়া অফিস থেকে যখন কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের খবর একের পর এক গণ মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে ঠিক সেই মুহুর্তে প্রতারক হোমিও ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ভোল পাল্টিয়ে রাতারাতি চলন্তিকা সোসাইটির সাইনবোর্ড নামিয়ে লাক্সমী নামের একটি বে সরকারি সংস্থার কার্যালয় হিসেবে নতুন সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেন। তখনই সন্দেহ জাগে এলাকাবাসী ও তার সদস্যদের। চাপ দিতে থাকে সদস্যরা তাদের সঞ্চয় ফেরত পেতে। রফিকুল ইসলাম এলাকাবাসীর চাপে কাউকে টাকা ফেরত না দিয়ে তার সময় সম্পত্তি যা ছিলো তা গোপনে বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সদস্যরা তখন চাপ দিতে থাকে তার দুই সহযোগী রথিন ও তাপসের উপর। সদস্যদের চাপের মুখে তারাও ক্ষনেকের জন্য আত্ম গোপনে যায়। কিছুদিন পর রথিন ও তাপস এলাকায় ফিরে এসে পাওনা দারদের বলেন, সমুদয় টাকা রফিকুল ইসলাম একক ভাবে আত্মসাৎ করেছে। আমরা তার নিয়োজিত বেতন ভূক্ত কর্মচারী ছিলাম। আমাদের কিছু করার নেই। তবে তাপস ও রথিন স্বীকার করেন ডাক্তার রফিকুল এলকার মানুষের কাছ থেকে ২ কোটির অধিক টাকা নিয়ে খুলনায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। রফিকুল ইসলামের এলাকায় আরেক নাম জামাত বিএনপির শীর্ষ ক্যাডার। তার নামে ২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি কয়েকটি নাশতকার মামলা রয়েছে। তাছাড়া সুন্দরবনে হরিণ শিকারের অভিযোগেও আদালতে একটি মামলা বিচারাধিন রয়েছে। উল্লেখ থাকে যে, রফিকুল ইসলাম তার সময় সম্পত্তি এলাকার জনৈক নুর ইসলামের নিকট গোপনে বিক্রয় করে পালিয়েছে। তার দুই সহযোগী রথিন ও তাপস এলাকায় বহাল তবিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এলাকাবাসী লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে দিশে হারা হয়ে বিভিন্ন দারে দারে ঘুরছে। সুধী মহলের অভিমত কে করবে প্রতারক রফিকুল ইসলামের বিচার। কেবা ফেরত দিবে সাধারণ মানুষের এই কোটি কোটি টাকা। এ ব্যাপারে ডাক্তার রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নং- ০১৭১৪-৬৩২৩৫৪ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।