এস কে সিরাজ, শ্যামনগর থেকে: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মনসুর আলী কাগুচি (৬০)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার খানপুর এলাকার মৃত আলী বাক্স কাগুচির পুত্র। মৃত মনসুর আলী কাগুচির পুত্র আকবর আলী বলেন, আমার পিতা সকালে গম খেতে ঘাস বাছতে গিয়েছিল, পাশের হাজী ব্রিকস নামের ইটভটার অপরিকল্পিত তার ফেলে রাখার কারণে আমার পিতা বিদ্যুৎ স্পষ্টে ঘটনাস্থলেই মারা যান, দীর্ঘদিন ধরে ভাটার পাশে আমাদের এই জমিটা নেওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছিল ইট ভাটা মালিক উপজেলার কাটিবার হল গ্রামের গহর শেখের পুত্র মোস্তাক শেখ। ইতিমধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে সে কোর্টে মামলাও দিয়েছে, আমাদের কৃষি জমিতে তার ভাটার অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের তার ফেলে রেখে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মনসুর আলীর জায়গাটা নেওয়ার জন্য হাজী ব্রিকস এর মালিক মোস্তাক শেখ নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিল, তারই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের তার কৃষি জমিতে ফেলে রেখে কৃষক মনসুর আলী কাগুচিকে হত্যা করেছে। এদিকে এ ঘটনা ঘটার পর পরই হাজী ব্রিকস এর মালিক ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হাজী ব্রিকসের মালিক মোস্তাক শেখের নাম্বার বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বলেন, জনবসতি এলাকায় ইটভাটা তৈরি করে পরিবেশ নষ্ট ও ওই এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে উক্ত ইটভাটা মালিক মোস্তাক শেখ, ইট ভাটার আশেপাশে বসতি যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে উক্ত ভাটা মালিক, ইটভাটার জায়গা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে সে গ্রামবাসীদের নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন মামলা ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, তারিই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে কৃষক মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়েছে। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্যামনগরে গম খেতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তার জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
পূর্ববর্তী পোস্ট