জি,এম আমিনুর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধি শ্যামনগর থেকে:
শ্যামনগরে করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা মেলেনি, এ দিকে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। করোনা ভাইরাস্ সংক্রমনে দেশব্যাপি ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ন্ অবস্থা হলেও বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলায় কোন করোনা আক্রান্ত মেলেনি। এদিকে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্স্।
শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অজয় কুমার সাহা বলেন, এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাস্ সন্দেহে সর্ব মোট ৪০ জন ব্যক্তির নমুনা টেস্ট পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার পরে বলা যাবে, কি হয়। তবে উপজেলা প্রশাসন কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। প্রতিনিয়ত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মনিটরিং সহ সচেতনতার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে কাজ করে চলেছে সিপিপির সেচ্ছাসেবকবৃন্দরা।
সম্পকিত খবর
- কালিগঞ্জে ফটোকপির হিড়িক
- লকডাউন না মেনে কালিগঞ্জে জ্বলছে ইটের পাঁজা, চলছে জুয়ার আসর
- বাংলাদেশী রোগী আসা বন্ধ থাকায় বিপন্ন কোলকাতার অর্থনীতি
- আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষা চাই
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজার গিফারী বলেন, শ্যামনগর থানায় এখনো পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। আলহামদুল্লিল্যাহ। সরকারী যে সিদ্ধান্তগুলো আসছে আমরা সেই গুলো বাস্তাবয়ন করার চেষ্টা করছি। সম্প্রতি যে সমস্যা সেটি হলো, বিভিন্ন জেলা থেকে বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত জেলেগুলো যেমন, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমজীবিরা নিজ এলাকায় ফিরছেন আমরা তাদের জন্য চেকপোস্ট বসাচ্ছি এবং তাদের তালিকা করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিশেষ করে যাদের বাড়ীতে ঐ ধরনের হোম কোরেন্টাইনের ব্যবস্থা নেই তাদেরকে বিভিন্ন স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক কোরেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে যে সহায়তা পাচ্ছি তাদের খাওয়ার জন্য চাল, আলু, সাবান, সুপেয় পানি পাঠিয়ে দিচ্ছি এবং তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে আমরা দেকভাল করছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ সহ উপজেলা প্রশাসন টহল দিচ্ছে এবং আইন ভঙ্গ করে যারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না তাদেরকে সচেতন এবং জরিমানা করছি। বিভিন্ন ভাবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ৫ হাজার ৫শ মানুষের সরকারী ত্রান পেয়েছি সেগুলো ১২টি ইউনিয়নের বিতরন করেছি। এমপি মহোদয়ের উদ্দেগ্যে একটি ভ্রাম্যমান টিম চালু করছি। যেটার শ্লোগান ডাক্তারের কাছে রুগী নয়, রুগীর কাছে ডাক্তার। যদি কোন এলাকায় কোন প্রকার অক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাই তা হলে এই ভ্রাম্যমান টিম সেখানে চলে যাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হটলাইনে ফোন দিলেই ডাক্তার এবং নাস্ অ্যাম্বুলেন্সে চলে যাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরজম নিয়ে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা বলেন, আমরা মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন করেছি, বাহিরাগত শ্রমজীবিদের জন্য চেকপোস্ট বসিয়েছি। সব মিলিয়ে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করছি।