
নজরুল ইসলাম:
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাউল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মৃত ব্যক্তির নামে থাকা জেলে বাওয়ালি কার্ড থেকে ৫৬ কেজি চাউল অবৈধ উপায়ে তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জ ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জলিল কাগজীর বিরুদ্ধে।
কচুখালি গ্রামের পশুপতি পরমান্যের ছেলে কৃষ্ণপদ পরমান্যে বলেন, আমার বাবা এক বছর আগে মারা গেছেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার নামে সরকার প্রদত্ত জেলে বাওয়ালী কার্ড ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পরে সে কার্ড আর কার্যকরী থাকার কথা না। কিন্তু ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল কাগজী আমার বাবার নামে থাকা সেই জেলে বাওয়ালী কার্ডের সাহায্যে অবৈধভাবে ৫৬ কেজি চাউল উত্তোলন করে আত্মসাত করার চেষ্টা করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উত্তোলনকৃত চাউল ফেরত দিয়েছে জলিল কাগজী।
অবৈধভাবে চাউল উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম মোড়ল বলেন, ইউপি সদস্য জলিল অবৈধভাবে চাউল উত্তোলন করেছিল একথা সত্যি, তবে সে উত্তোলনকৃত চাউল পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে ফেরত দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজার গিফারী বলেন, নামের তালিকা সংগ্রহ করে পাঠানোর আগে মৃত এবং স্থানান্তর হওয়া ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। জলিল কাগজী মৃত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভূক্ত রেখে বেআইনী কাজ করেছে। পরবর্তীতে কেউ এমন করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।