সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: পরিবহন চালকরা মাদকাসক্ত কি না তা জানতে ডোপ টেস্ট শুরু করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ডোপ টেস্টের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা পেলেই পরীক্ষার কাজ শুরু করবে সংস্থাটি। চালকদের ডোপ টেস্ট করতে খরচ হবে ৯০০ টাকা, যা প্রাথমিকভাবে বহন করবে সরকার। পরীক্ষায় চালকরা মাদকাসক্ত প্রমাণ হলে বাতিল হতে পারে ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে পরিবহনে যৌন হয়রানিসহ কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা।
সময় সংবাদে ধরা পড়ে একটি গণপরিবহন থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর দেখা যায় গাড়ির স্টিয়ারিং হেলপারের হাতে দিয়ে চালক নেমে এসেছেন মাদক গ্রহণের জন্য।
গণপরিবহনের চালকদের মাদকগ্রহণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শুধু তাই নয়, বাসে ঘটে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রায়েই ঘটছে। যার বাস্তবতা শিকারও করেন গণপরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।
চালক মাদকাসক্ত কিনা তা জানতে সরকার ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে ভারী যানচালকদের লাইসেন্স গ্রহণের আগেই দিতে হবে সেই পরীক্ষা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত হাসপাতালে চার ধাপে পরীক্ষায় খরচ হবে ৯০০ টাকা আর টার্মিনালেগুলোতে তাৎক্ষণিক কিটে পরীক্ষার জন্য খরচ হবে ২০০ টাকা। প্রথমিক পর্যায়ে খরচ বহন করবে সরকার। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার পরও চালকদের নজরদারি করতে হবে সরকারকেই।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, চালকদের যদি প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় আর তারা যদি এটি গাড়ি চালানোর সময় ব্যবহার করে দুর্ঘটনা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ৫টি সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তারা বলছে, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে বাতিল হবে চালকের লাইসেন্স।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সরকারের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, নির্দেশনা পেলে যত দ্রুত কার্যকর করা যায়, করা হবে।
গত বছরের ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে চালকদের ডোপ টেস্ট করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।