নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৯১নং খ্যাগড়াদানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্ল্যাহ আল মামুনের নামে সীমাহীন দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। মোঃ বাবর আলী নামের খ্যাগড়াদানা এলাকার এক বিদ্যেুৎসাহী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্ল্যাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ লিখিতভাবে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে। সরকারি নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী-২০২৪ পালন না করে অফিসে বিল ভাউচার দাখিল, বিদ্যালয়ের স্লিপ বাজেটের ব্যয় সঠিক ভাবে না করা, স্লিপ ব্যয়ের ভ্যাট ও আইটি সঠিক ভাবে প্রদান না করা, স্লিপ বাজেট তৈরী ও ব্যয় করতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সম্পৃক্ত না করা, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যালয়ে বেড়ে ওঠা মূল্যবান গাছ স্বল্পদামে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ করা, সরকারি পরিপত্রকে তোয়াক্কা না করে কোমলমতি শিশুদের নিকট থেকে প্রান্তিক মূল্যায়ণ (পরীক্ষা) গ্রহণ করতে ফিস গ্রহণ করা এবং বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের আগমন ও প্রস্থানের অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে এসকল অনিয়ম ও দূর্ণীতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, শিক্ষক নেতা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন নিজেকে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে দাবী করলেও তিনি নানাবিধ দূর্ণীতি ও অপকর্মে লিপ্ত। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, শ্যামনগর উপজেলা শাখার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন দূর্ণীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষকনেতা জানান, আব্দুল্যাহ আল মামুন এমন একজন শিক্ষকনেতা যিনি অতি ঠান্ডা মাথায় তার মতের বিরোধিতাকারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে থাকেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে শিক্ষকগণের নামে আবেদন করিয়ে মামলা দেন বলে অভিযোগ আছে তার নামে। বর্তমান শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশীদ এমন একটি মামলার শিকার বলে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন। তৎকালীন শিক্ষা অফিসার মো. রফিজ মিঞাকে ম্যানেজ করে শিক্ষকনেতা মামুনুর রশীদ কে বলির পাঠা বানানো হয়। যে দল ক্ষমতায়, সে দলেরই নেতা তিনি। এমন পরিচয় দিয়ে তিনি বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা স্ট্যাডিং কমিটির সদস্য। বিগত সময়গুলোতে এমনই ছিলেন। তার অভিযোগের বিরুদ্ধে কোন শিক্ষকের সরাসরি মুখ খোলার সাহস নেই বলে শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের বেহাল দশার উন্নতি নেই এমনটাই দাবী করেন অনেকে। শিক্ষকনেতা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিলের পর থেকে বাবর আলীকে ম্যানেজ করতে তিনি এবং তার নিজস্ব বাহিনী উঠে পড়ে লেগেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ পত্রের বিষয়ে বাবর আলীর কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল্ল্যাহ আলমামুন অতি ধূর্ত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে তার অপকর্ম ও দূর্ণীতির প্রতিকার চেয়ে আবেদন করায় তিনি আমাকে অভিযোগ তুলে নিতে নানা ভাবে হুমকীতে রেখেছেন। উল্লেখ্য শিক্ষকনেতা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করার সংবাদে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে আলোচনার ঝড় বইছে। উপজেলা শিক্ষা পরিবারের সব চাইতে প্রভাবশালী নেতার এমন ঘৃণ্য কাজের প্রতি ঘৃনা ও উপযুক্ত বিচার কামনা করেছেন শিক্ষকমহল। তার প্রকৃত অপরাধ সমূহের বিচার হলে অন্যান্য বিপদগামী শিক্ষকগণ অপরাধ করতে ভয় পাবেন এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে শান্তি বিরাজ করবে বলে সাধারণ শিক্ষকগণ মনে করেন।