
জিয়াউর রহমান শ্যামনগর থেকেঃ ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি নকিপুর হরিচরণ পাইলাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় গেট থেকে শুরু হয়ে শ্যামনগর উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলায় চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যমূলক আচরণ চলছে। অবিলম্বে শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা। বক্তারা আরও বলেন, ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি ও নওয়াবেকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নকিপুর হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চিংড়িখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়দেব বিশ্বাস, কাঠালবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, ভুরুলিয়া নাগবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম এবং নওয়াবেকি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্দুল ওহাব। সিরাজপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন।
বক্তারা বলেন, “শিক্ষক সমাজ জাতি গঠনের কারিগর। অথচ আজ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে— যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
তারা আরও বলেন, “সরকার যেন দ্রুত শিক্ষকদের প্রাপ্য ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে, যাতে শিক্ষকরা স্বাভাবিকভাবে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারেন।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জোবেদা সহরাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল সাত্তার।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচার ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।