
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরী করে অন্যের জমি জবর-দখলের অভিযোগের মামলায় শাহানাজ বেগমের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে করিমন বেগমের জামিন শুনানীর জন্য আগামী ২৭ মার্চ দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। গতকাল সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে স্পেশাল ০১/২২ নম্বর মামলায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান ওই আদেশ দেন।
জানা যায়, আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের মৃত: আহম্মদ আলীর পুত্র শাহীন ইকবালের দায়ের করা একটি মামলায় পুরাতন সাতক্ষীরার আলাউদ্দীনের স্ত্রী শাহানাজ বেগম ও রিয়াছাত আলীর স্ত্রী করিমন বেগমকে গত ৯ মার্চ সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেন। প্রতারনা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর তদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপ সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল মুন্সিপাড়ার বাবলু গাজীর পুত্র ভ‚মিদস্যু ছালাম গাজীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান গত ২৪ ফেব্রæয়ারী ধার্য দিনে চার্জশীট গ্রহন করে সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ দেন। এরপর পুলিশ শাহানাজ বেগম ও করিমন বেগমকে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামীরা পরস্পর যোগ সাজসে সাতক্ষীরা মৌজার ৫৬৭ ও ১৬২৭ এস, এ খতিয়ানের ২৪৭১, ২৪৭২ ও ২৪৭৩ দাগের এক একর ১২ শতক জমির খাজনাজারী মোকদ্দমার রায়, মিউটেশন, খন্ড খতিয়ান, চেক দাখিলা ও বর্তমান রেকর্ড জাল-জালিয়াতি করে সদর সাব-রেজস্টারের মাধ্যমে জাল দলিল সৃস্টি করে জোর- পূর্বক সম্পত্তির দখল নেয় বলে বাদী শাহীন ইকবাল তার মামলায় উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাতক্ষীরা সদরের সাব-রেজিস্টার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্যা, সদর থানার সাবেক এস, আই এস, এম হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ছালাম গাজীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রতারনা ও জাল-জালিয়াতিসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইন (২ নং আইন) এর ৫ (২) ধারায় পিটিশন ৩/১৮ নম্বর একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনাকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর তদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর উপ সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল সাতক্ষীরা সদরের সাব-রেজিস্টার মোঃ লুৎফর রহমান মোল্যাকে আসামী থেকে আব্যাহতি দিয়ে তাকে সাক্ষী শ্রেনীভুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান গত ২৪ ফেব্রæয়ারী ধার্য দিনে চার্জশীট গ্রহন করে সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ দেন। আসামীরা হলেন, আশাশুনির বুধহাটা গ্রামের মাদার সরদারের স্ত্রী জবেদা খাতুন, সদরের মাছখোলা গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদ, মুন্সিপাড়ার বাবলু গাজীর পুত্র ভ‚মিদস্যু ছালাম গাজী, সদরের আলীপুর চাপারডাঙ্গী গ্রামের বর্তমান ইউ, পি সদস্য জাহিদুর রহমান, পুরাতন সাতক্ষীরার আলাউদ্দীনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম, সদর থানার সাবেক এস, আই এস, এম হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন, পুরাতন সাতক্ষীরার রিয়াছাত আলী ও তার স্ত্রী করিমন বেগম এবং সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের একজন দলিল লেখক । উক্ত আসামীরা পরস্পর যোগ সাজসে সাতক্ষীরা মৌজার ৫৬৭ ও ১৬২৭ এস, এ খতিয়ানের ২৪৭১, ২৪৭২ ও ২৪৭৩ দাগের এক একর ১২ শতক জমির খাজনাজারী মোকদ্দমার রায়, মিউটেশন, খন্ড খতিয়ান, চেক দাখিলা ও বর্তমান রেকর্ড জাল-জালিয়াতি করে সদর সাব-রেজস্টারের মাধ্যমে জাল দলিল সৃস্টি করে জোর- পূর্বক সম্পত্তির দখল নেয়।
উল্লেখ্য, উক্ত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ভ‚ক্ত আসামী পুরাতন সাতক্ষীরার আলাউদ্দীনের স্ত্রী শাহানাজ বেগম ও পুরাতন সাতক্ষীরার রিয়াছাত আলীর স্ত্রী করিমন বেগমকে গত ৯ মার্চ সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেন।