
এম,এ কালাম, কলারোয়া: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন লাভ করলো কলারোয়ার সাংবাদিক কন্যা জেরিন মিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কমিশন লাভ করেন। লেফটেন্যান্ট মিম কলারোয়া প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিক সরদার জিল্লুর রহমানের বড় কন্যা। তিঁনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার মুজিব, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ.সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মোরশেদ ও কলারোয়া উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান কেরালকাতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমানের ভাতিজি। জেরিন মিমের সাফল্যে বিজয়ের মাসে সফলতা কলারোয়ার সরদার পরিবারের। উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের সরদার পরিবারের মেধাবী মেয়ে সাদিয়া জেরিন মিম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে ২৯ ডিসেম্বর কমিশন লাভ করেছেন। ওই দিন চট্টগ্রামে মিলিটারী একাডেমীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে নবীন অফিসারদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন এবং ব্যাজ পরিয়ে দেন। লেফটেন্যান্ট জেরিন মিম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৭তম দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে (২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী হতে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল) ৩ বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপ্তিতে এই কমিশন লাভ করেন। জেরিন মিম জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে ‘গোল্ডেন এ প্লাস’ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন এবং ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিগত ৩ বছর প্রশিক্ষণ চলাকালীন তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অধ্যায়নরত আছেন। লেফটেন্যান্ট জেরিন মিম ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কলারোয়াসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে ক্যাডেটগণ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন। সেসময় ক্যাডেটদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিধানের পর লেফটেন্যান্ট মিমের পিতা-মাতাসহ উৎসুক অভিভাবকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এসময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নবীন অফিসার লেফটেন্যান্ট জেরিন মিমের চাচা সরদার মুজিব, বাবা সরদার জিল্লুর, মা নাসিমা খাতুন, ছোট বোন মিথিলা আলিফ ইমু, ছোট ভাই লাবিব আল্ সাকিন। পরে ফুল দিয়ে বরন করে নেন নিজেদের মেয়ে লে. জেরিন মিমকে। পরে ক্যাডেটগণ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন এবং ক্যাডেটদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীস্থ বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স সমাপনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী, প্রযুক্তিগতভাবে সুসজ্জিত এবং আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতি ক্যাডেটটের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৩৪ জন বাংলাদেশী, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি, ১ জন শ্রীলংকানসহ মোট ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।