
শ্যামনগর সংবাদদাতা: কৃষি ও ধানের উপর লবণাক্ততার প্রভাব নিয়ে গবেষণা হলেও গৃহস্থালী সামাজিক জীবনে লবণাক্ততার প্রভাব নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে বছরব্যাপি ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে প্রাত্যহিক জীবনের নানাক্ষেত্রে লবণাক্ততার প্রভাব নিয়ে ১৬টি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন একদল তরুণ গবেষক। কেবল জনগোষ্ঠী নয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পরিষদ লবণাক্ততা বিষয়ে কি ধরণের কাজ করছেন বইটিতে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকে কর্মরত এই গবেষকগণ সকলেই উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দা এবং জন্ম থেকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লবণাক্ততার প্রভাব উপলব্ধি করছেন। বারসিক কর্মকর্তা গাজী আল ইমরান এর সঞ্চালনায় শ্যামনগর উপজেলা মিলনায়তনে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ২০২২ তারিখে বারসিক প্রকাশিত এই গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, কৃষি অফিসার এনামুল ইসলাম, মৎস্য অফিসার তুষার মজুমদার,সমাজসেবা অফিসার আরিফুজ্জামান আরিফ,ওসি তদন্ত হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম,প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবির, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিঠু, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, যুব ও জনসংগঠন প্রতিনিধি, শিক্ষক ও স্থানীয় লেখক-গবেষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বইটির গবেষকগণ তাদের গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। এসময় বারসিকের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সেলের পরিচালক এবং বইটির সমন্বয়ক গবেষক পাভেল পার্থ বইটির সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ সর্ম্পকে আলেঅচনা করেন। উপস্থিত বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর শ্যামনগরে একটি গবেষণা কাজের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হল এবং উপকূলের লবণাক্ততার সমস্যা নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হল। লবণাক্ততা নিরসন এবং এর সাথে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকার জন্য ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রকল্প, গবেষণা ও কর্মসূচি গ্রহণে এই বইটির গবেষণাগুলো বেশ কাজে লাগবে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। বারসিকের রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, চম্পা রানী মল্লিক, মফিজুর রহমান, বিশ^জিৎ মন্ডল, পার্থ সারথী পাল, বাবলু জোয়ারদার, দিলরুবা ইয়াসমীন, মননজয় মন্ডল ও ফজলুল হক