কলারোয়া প্রতিবেদক: কোভিড-১৯,করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সাতক্ষীরা জেলায় শনিবার (০৫ জুন) সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। তবে, সীমান্ত বর্তী এই জেলাটিতে আগে থেকেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আভাসে সতর্ক হয়ে ওঠে জেলা সদর এবং উপজেলা প্রশাসন গুলি।
বিষয়টিকে জরুরী আমলে নিয়ে গত ০১ জুন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এর আহবান করে। ঐ বৈঠকে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. জিয়াউর রহমান এবং সীমান্তবর্তী কেড়াগাছি, সোনাবাড়িয়া ও চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষীকাবৃন্দ।
সারাদেশব্যাপি করোনা সংক্রামণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে কম হলেও সীমান্তবর্তী জেলা গুলোতে করোনার প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
০৫ জুন জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষনা করায় কলারোয়া উপজেলায় সতর্কতা আনতে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু নিজে অংশ নিয়ে পৌর এলাকার তরকারী বাজার, মাছ বাজার, কাপুড়িয়া পট্টি, ব্রীজ রোড, কলাগাছির মোড়, আফজালের মোড়, মুরালীকাঠি মোড়, বাক্স পট্টি, গোডাউন মোড় সহ পৌর আবাসিক এলাকায় প্রতিদিন প্রচার মাইকিং চালাচ্ছেন।
করোনা মোকাবিলায় কি কি স্বাস্থ্য বিধি পালনে জনসাধরণকে সচেতন করছেন, সে প্রসংগে চেয়ারম্যান লাল্টু বলেন, মাস্ক ব্যবহার করতে সচেতন করা ও বাধ্য করা প্রয়োজনে জরিমানা করা, ভারত হতে অবৈধ পথে কোন লোক দেশে ঢুকতে না দেওয়া, করোনা আক্রান্ত বাড়ীর কোন লোককে জনসমাবেশ এলাকায় চলাচল করতে না দেওয়া, সীমান্তবর্তী বাড়ি সংলগ্ন ষ্টল বা চায়ের দোকান বন্ধ রাখা, সীমান্ত নদীতে (সোনাই) গোসল করতে না দেওয়া।
গত ০৪ জুন সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিন ভাদিয়ালি গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের বাড়ী লকডাউন হওয়ায় কলারোয়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান লাল্টু তার বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের সকলের জন্য চাউল, ডাউল, তেল, মাছ, ফলাদি, সাবান, তরি-তরকারী এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজার প্রদান করেন বলেও তিনি জানান।
সীমান্তে করোনা প্রতিরোধ কল্পে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় অংশ নেন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু,নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জুবায়ের হোসেন,ইউএইচও ডাঃ জিয়াউর রহমান,কাক ডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার ওসমানী, মাদরা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুস সবুর,কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিল, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি সহ অনেকে।
এদিকে,লকডাউনের প্রথম দিনে কলারোয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী আমার প্রচারভিযানে কাজ করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তারদের পরামর্শ মোতাবেক তার চিকিৎসা চলছে, তার সুস্থতার জন্য এলাকার মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন। লকডাউনে কাজ করতে গিয়ে তিনিও ঝুকির মধ্যে আছেন বলে জানান।
নির্বাহী কর্মকর্তার সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন-কলারোয়া পৌর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ, সাংবাদিক সরদার জিল্লুর রহমান, শেখ রাজু রায়হান, সরদার ইমরান হোসেন, আসিফ খান চৌধুরী, ডাঃ কামরুল ইসলাম, ডাঃ আব্দুল হান্নান, ডাঃ খন্দকার আবুল হাসেম সাজু, অনিক, ্এবিএম ফিরোজ খান, আজগর আলী, নাদির হোসেন অলোক, মেহেদী হাসান সহ উপজেলার সকল সাংবাদিক বৃন্দ।