
রাসেল মাহমুদ (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর শ্রমিক লীগ নেতা রেজা হত্যা মামলায় যুবদল নেতা জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশের হাতে আটক আসামীরা আদালতে যুবদল নেতার নাম প্রকাশ করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
মামলার তথ্য ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা রেজাউল করিম রেজাকে গত রবিবার (২১ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। গত বুধবার (২৪ নভেম্বর) সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকেই মামলার মূল আসামীরা পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঢাকার পৃথক দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন নয়ন ও শাকিলকে আটক করে। আটককৃতরা টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আহসানুজ্জামান টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায়। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আরিফুল ইসলাম তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক নয়ন ও শাকিল মামলার গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করে। তারা জানায়, শ্রমিক লীগ নেতা রেজাউল করিম রেজার উপর হামলার সময় এক যুবদল নেতাসহ শহরের এনায়েতপুর এলাকার হারুন-অর রশিদের পুত্র সাজ্জাদ দ্বীপ (২৬), আকুরটাকুর পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র রবিন মিয়া (২৭), কোদালিয়া এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (৩০) এবং একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে পাভেল (২৮) উপস্থিত ছিল।
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীকালে একই নাম প্রকাশ করে। জবানবন্দীতে প্রকাশ হওয়া যুবদল নেতার নাম শরিফ হোসেন (৩০)। সে কালিহাতী উপজেলার মান্দুরিয়া গ্রামের শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের পুত্র। নাম প্রকাশের পর থেকে শরিফ হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলার বাদী রাশেদুল ইসলাম আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে ফাঁসির দাবী করেন।
অপরদিকে, মামলাটিতে যুবদল কর্মীর নাম আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।