
নিজস্ব প্রতিবেদক: সুলতানপুরের একটি দ্বিতল ভবন। পৈত্রিক ভিটায় তৈরি করা দ্বিতল ভবনের মালিকের কোন ইনকাম সোর্স নেই। কিন্তু চলেন রাজার হালে। ভবনটিতে সকাল দশটা থেকে শুরু হয় জুয়ার আসর, চলে রাত ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত। জুয়ার আসরের পর শুরু হয় মিনিবার। সেখানে সমাজের উচ্চ বিত্তের পাশা-পাশি সরকারি আমলারাও অংশ নেন নিয়মিত।
জুয়ার আসর ও মদের এ আড্ডার খবর ওপেন সিক্রেট হলেও অজ্ঞাত কারনে ভবন মালিক থেকে যাচ্ছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। রাজার হালে চলা দ্বিতল ভবনের মালিককে অনেকে বলেন রাজাবাবু আবার অনেকে বলেন মাকালফল।
এ রাজাবাবুর কাজ শুধু জুয়ার আসর বসানো ও মিনিবার চালানো নয়। সুযোগ বুঝে অন্যের জমি দখল ও তদ্বির বাণিজ্যও করে থাকেন। বিশেষ করে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয় বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে সে।
এ ক্ষেত্রে তিনি প্রভাশালী এক রাজনীতিকের নামও ভাঙ্গিয়ে থাকেন। তাবে খোঁজ নিয়ে জনা গেছে ওই রাজনীতিকের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজাবাবু সব অপকর্ম করলেও ওই রাজনীতিক তাকে শেল্টার দেন না। এমনকি তাকে পছন্দও করেন না। কিন্তু তাতে কী আসে যায়। প্রশাসনের কাছে সব সময় ওই রাজনীতিকের নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটে চলেছেন ৪/৫ বছর ধরে।
এককালে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এ রাজনীতিক অপকর্মের দায়ে কয়েকবার জেলও খেটেছেন। জুয়ার আসর থেকে মোটা অংকের নিত্য আয় আছে রাজাবাবুর। মদের আসর থেকেও আসে মোট অংকের টাকা। জুয়ার আসর ও মদের আসর চালাতে রাজাবাবু থানা পুলিশেকে দেয়ার নামে দৈনিক বখরা নিয়ে থাকে। দ্বিতল ভবনের উপরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং নিচতলায় চলে জুয়া ও মদের কারবার। ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।