
নড়াইল সংবাদদাতা:
রমজানের ছুটিকে সামনে রেখে নড়াইলে বিভিন্ন স্কুলে চুরির হিড়িক। চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৯টি ল্যাপটপ, ১৪টি চার্জার ৭২টি সিলিং ফ্যান, ৪টি প্রজেক্টও, ৩টি প্রিন্টার, ০১টি স্ক্যানার, ১৬টি সাউন্ড বক্কর, ২টি কম্পিউটার বক্স, ০৩টি কিবোর্ড ও ২টি মাউচ ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল গোপালগজ্ঞ জেলার মোকসেদপুর থানার বাটিকা বাড়ী গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ শহিদুর ইসলাম (৩০), টেংরাখোলা গ্রামের মোঃ সোহাগ সরদারের ছেলে মোঃ রিজু সরদার (১৮), গোপীনাথপুর গ্রামের মজিবর মোল্যার ছেলে মতিউর রহমান রাসেল, ধোপাকান্দা গ্রামের মৃত মতি মোল্যার ছেলে সোহবান মোল্যা (৩৮), উজানিয়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে আরমান মোল্যা (২০) ও মাগুড়া জেলার বাটাজোড়া গ্রামের মৃত শিবপদ দাসের ছেলে নেপাল দাস(৩০)।
বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মুপার সাদিরা খাতুনের বক্তব্যে এ সকল তথ্য জানা যায়।
ছুটিকে সামনে রেখে জানুয়ারী মাসের ২৬ তারিখে নড়াইলের লোহাগড়া থানার নলদী বি এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭টি ল্যাপটপ, মার্চ মাসের ১৭ তারিখে সদরের মালিডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন সামগ্রী, হবখালী স্কুল থেকে ১২টি ফ্যান চুরি হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল শুক্রবার শনিবার বন্ধ থাকায় চুরি সংগঠিত হতে থাকে। চুরির ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা হলেও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত সমন্বয় করে চলতে থাকে। তদন্ত কালে দেখো যায় একই নম্বরের সিম চুরি কালে ব্যবহার হয়েছে। উক্ত সিম নম্বরের সুত্র ধরে ২১ মার্চ সদরের পৌরসভাস্থ ভওয়াখালী গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে রিজু সরদারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বীকারাক্তি মোতাবেক অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার ও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, আটককৃতরা দিনের বেলায় বিভিন্ন স্কুলে যেয়ে কি কি মালামাল আছে তা জেনে সুবিধা মত সময়ে তারা চুরি করতো।
সংবাদ সম্মেলনে সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জেলা গোয়েন্দা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজেদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।