
নিজস্ব প্রতিবেদক: রইসপুরে ৩৩ একর ০৬ শতক সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার হলেও এখনও কয়েক ‘শ’ বিঘা সম্পত্তি উদ্ধার হয়নি। অথচ সম্পত্তি গুলো কিছু জামায়াত নেতা ও রাজাকাররা দখল করে রেখেছে। জানা গেছে, পলাশপোল মৌজার ১৯৯৪ নং ডিএস খতিয়ানের ৪২৩১, ৪২৩৮, ১২৮০নং দাগে রইসপুর সহ তার আশপাশে ৩৯০ বিঘা খাস সম্পত্তি আছে। সেগুলোর বর্তমান হাল রেকর্ডও সরকারের নামে। এ সম্পত্তিগুলো সরকারের নামে থাকলেও তা সরকারের জানা ছিল না। পরে রইসপুর এলাকার মৃত. আতিয়ার রহমানের ছেলে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল কুদ্দুস সরকারের পক্ষে বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে সরকারকে সহযোগীতা করে। তখন এ সম্পত্তিগুলো সরকারের বেদখলে ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বেদখলে থাকা সম্পত্তির বিরুদ্ধে মামলা করে। সকল আদালতে সরকারের পক্ষে রায়ও হয়। এক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় সরকারের পক্ষে আসলে জেলা প্রশাসক ৩৯০ বিঘা সম্পত্তির মধ্যে ১১৫ বিঘা সম্পত্তি দখলে নেয়। বাকি সম্পত্তি এখনও দখল করতে পারিনি সরকার। তবে ওই সম্পত্তিগুলো এখনও কিছু জামায়াত নেতা ও রাজাকাররা বিভিন্ন ভাবে দখল করে রেখেছে। এরা হল ৭১ এর পিছ কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক, সদস্য আব্দুল মালেক, মজিবর, মিজান হাজী, শফিকুল ও পতিলা, পিছ কমিটির সহ সভাপতি মাহাজন সরদার, জুলফিকারের ছেলে বাবু, আলহাজ¦ রুহুল আমিন, নুরুল আমিন, মুক্তার সরদার, জামায়াত নেতা আব্দুল জলিল সরদার, পিছ কমিটির সদস্য মফেজউদ্দিন সরদার, গোলাম সরোয়ার, আবুল হাসান, মাগফার রহমান, মোখলেছুর রহমান, সাবুর আলী, কামরুজ্জামান পলাশ, বাবলুর রহমান, বিএনপি নেতা লাভলু, আলহাজ¦ গোলাম মোস্তফা, আলহাজ¦ কবির হোসেন, আব্দুল হাকিম সরদার, পিছ কমিটির সহ সভাপতি আলহাজ¦ হাকিম সরদার, সেকেন্দার, এরফান, আব্দুল মালেক মোড়ল, আব্দুল খালেক, মাহাজন সরদার, আব্দুল আব্দুল আজিজ সরদার, মুনছুর আলী, ফজলুল হক সরদার, আব্দুল বারী, আব্দুল ওহাব, আব্দুল অহেদ, রেজোয়ার হক, পিছ কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ মাওলানা মহিউদ্দিন সরদার। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ শত শত বিঘা সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে আছে। এদিকে, আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুস এ সম্পত্তি নিয়ে সরকারের পক্ষে কাজ করায় তাকে হত্যা সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ ওই রইসপুর সহ তার আশপাশের এলাকায় কয়েক শত বিঘা সরকারী খাস সম্পত্তি আছে। যা সরকার নিজেই জানেনা। এসব সম্পত্তি উদ্ধারে আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুস সহ কয়েকজন ব্যক্তি উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে সরকারকে সহযোগীতা করে আসছে। যার ফলে সম্পত্তিগুলোর মধ্যে কিছু সম্পত্তি সরকার পেলেও বাকী সম্পত্তিগুলো পড়ে আছে রাজাকার, তাদের পরিবার ও জামায়াত-বিএনপি নেতারা। সরকারী এ সম্পত্তি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।