জিয়াউর রহমান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে পার্শ্বেখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান সরদারের বাড়ির পাশে অবস্থিত জেলা পরিষদের দিঘীর রাস্তায় ডাবল ইট সোলিং এর কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসির অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণে দেওয়া হচ্ছে নিম্ন মানের ইট যাহা লবনাক্ত এলাকায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। রাস্তায় কোন বালু ব্যবহার করা হচ্ছে না। জানা গেছে, জেলা পরিষদের রাস্তা সোলিংয়ের কাজের দায়িত্ব নেন ঝিনাইদাহ জেলার ঠিকাদার মিন্টু। ঠিকাদারের মিস্ত্রী ও লেবাররা জানান সিডিউলে কোন বালু দেওয়ার কথা লেখা নেই। আমরা এই ঠিকাদারের অধীনে যত জায়গায় কাজ করেছি। কোন জায়গায় বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেনি। স্থানীয় আতিয়ার রহমান সরদার (৬০) জানান ইটসোলিং এ ৩নং ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ও কোন বালি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া এলাকার অনেকে বলেন, ঠিকাদাররা উপরের মহলের সকলের ম্যানেজ করে নিয়েছে। ও কাজের মান যতই খারাপ হোক কেহ কিছু বলবে না। এছাড়া যতীন্দ্রনগর আলেক গাজীর বাড়ীর সামনের দীঘির পার্শ্বে রাস্তা সোলিং এ কাজ করার জন্য নিম্নমানের ইট নিয়ে এসেছে এবং রাস্তা সোলিং করার প্রস্তুতি চলছে। ইতোপূর্বে একই ইউনিয়নে হেতালখালী গ্রামের অন্ন মোড়লের বাড়ির সামনে দীঘির পার্শ্বে রাস্তা নির্মানেও নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে ও সেখানে কোন প্রকার বালি ব্যবহার করা হয়নি। ঠিকাদার মিন্টু হোসেনের সাথে কথা হলে বলেন, ইট ভালো আছে কিন্তু ভাটা থেকে দুই একটা খারাপ আসতে পারে। সেগুলো ঠিক করে দিব। জেলা পরিষাদের সদস্য ডালিম ঘরামী বলেন, অভিযোগের বিষয় শুনেছি ঠিকাদারের আমাদেরকে কোন মূল্যয়ন না করে এধারনের কাজ করে যাচ্ছে। ঠিকাদাররা কাজ দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ার কে ম্যানেজ করে এধরণের কাজ করছে। এ বিষয় জেলা পরিষদের মাসিক সভায় বলা হয়েছে তারপরেও কোন ভ্রুক্ষেপ করছে না ঠিকাদাররা। পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখনো কেও অভিযোগ করেনি যদি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বালুর বিষয়টি নির্ধারিত করা নেই তবে বালু দিতে হবে। এলাকার সচেতন মহল অনিয়ম কাজ বন্ধ রেখে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
মুন্সীগঞ্জে জেলা পরিষদের দিঘীর পাশে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট