
আহাদুর রহমান: মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে দোকানঘর নির্মাণ করতে হলে টাকা দিতে হয় ভূমি কর্মকর্তা আইনুল হককে।
জায়গার বৈধতা থাকা পরও টাকা না দিলে ভূমি কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে হেনস্থা করে। ঘর নির্মাণ করার বৈধতা নেই তাদের কাছ থেকে কাগজ করে দেয়ার নাম করে পকেট ভারী করেন।
সম্প্রতি হরিনগর বাজারে পাকা স্থাপনা নির্মাণে কয়েকটি ঘর মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ২০ বর্গ মিটার নিয়ম থাকলে তার অধিক জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সিগঞ্জ বাজারে হিমাংশ মন্ডলের ঘর ২০ বর্গমিটারের কাগজ থাকলেও নির্মিত হয়েছে তিনটা ঘরের সমান এবং দুই তলা ভবনে দৃশ্যমান হয়েছে। হরিনগর বাজারের অজিত মল্লিকের ঘরের কাগজ করিয়ে দেয়ার কথা বলে আশি হাজার টাকা নেয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, হরিনগর বাজারে ঘর করে দেয়ার নামে ছয় হাজার টাকা নেয়। ইতোপূর্বে মুন্সিগঞ্জ বাজারের কাপড় পট্টিতে একটা ঘরের কাগজ দেখিয়ে তিনটে ঘর নির্মাণ করেছে। বিষয়টি অবগত করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল হক।
প্রতিটি বাজারের ঘর নির্মাণকারী মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা বাণিজ্য করে থাকে ভূমি কর্মকর্তা। হরিনগর বাজারে ভূমি কর্মকর্তার নাকের ডগায় একাধিক অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করলেও চোখে পড়ার মতন দৃশ্যমান ভূমিকা দেখা যায়নি তার। আর পাশে থাকা দালাল চক্রটি চুক্তির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল চক্রের মূলোৎপাটন করতে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।