জাতীয় ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রকাশ্যে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে আলামিন (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের পুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
আলামিন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার পাতারহাট এলাকার মো. সেন্টু জমাদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় বসবাস করেন। পেশায় ভ্যানচালক। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকালে র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব কর্মকর্তা রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, গত ৫ মার্চ (রবিবার) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানীনগর এলাকায় উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক কনস্টেবল মো. সুলতান আহমেদ। এ সময় উল্টোপথে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাং রোডগামী একটি অটোরিকশা আসতে দেখে তিনি থামতে বলেন। কিন্তু অটোরিকশা চালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নারী যাত্রী নিলুফা বেগমসহ রিকশাটি উল্টে যায় এবং ওই যাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।
তিনি জানান, পরে ওই নারী তার মোবাইলের জরিমানা স্বরূপ কনস্টেবল মো. সুলতানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তার কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করেন। এ সময় আসামি আলামিনসহ আশপাশের ৫-৬ জন অজ্ঞাত লোকসহ ওই নারীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সারা দেশে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এই ঘটনায় শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই দিলীপ কুমার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় গ্রেফতার ওই নারী নিলুফা বেগমসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে এই ঘটনায় র্যাবের গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামি আলামিনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আলামিন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।