
মণিরামপুর (যশোর )প্রতিবেদক:
যশোরের মণিরামপুরের একটি মাঠ থেকে অসুস্থ উদ্ধার হওয়া সেই শকুনটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ দফতরের তত্ত¡াবধানে ৬ দিন চিকিৎসা শেষে শকুনটি সুস্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে শকুনটি হস্তান্তর করা হবে। গত বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার কামালপুর মাঠে অসুস্থ শকুনটি পড়ে থাকতে দেখে দুই কিশোর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণি সম্পদ দফতরে নিয়ে আসে।
এদিকে বুধবার (১৬ ফেব্রæয়ারি) মণিরামপুর প্রাণি সম্পদ দফতরে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় স্থান পেয়েছে শকুনটি। মেলায় আগত শিশুদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় ছিল বিলুপ্ত জাতের এ পাখিটি।
দর্শনার্থী ৯ম শ্রেণির ছাত্র শিহাব আল সামী বলে, শকুন নামে একটা পাখি আছে সে কথা শুনেছি। আগে কখনো শকুন দেখিনি। বড় পাখিটি দেখতে ভাল লাগছে। ‘পুষ্টি মেধা দারিদ্র বিমোচন, প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন’ ¯েøাগানে বুধবার সকালে একদিনের প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন করে উপজেলা প্রানি সম্পদ অধিদফতর। নিজেদের চত্বরে আয়োজিত মেলায় ছোটবড় ৩৭টি স্টলে উন্নত জাতের গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ নানা জাতের পশুপাখি স্থান পেয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মেলায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরমেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী ও জলি আক্তার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। প্রদর্শনী শেষে গাভী, ছাগল ও পাখি পালন তিন ক্যাটাগরিতে নয় জনকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, প্রাণি সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি, প্রতিক‚ল পরিবেশ মোকাবিলায় ক্ষুদ্র খামারি ও উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন পালন কৌশল অবহিতকরণসহ নানা উদ্দেশে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় অংশ নেওয়া তিন স্তরের নয় জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আবুজার সিদ্দিকী বলেন, শকুনটি এখন সুস্থ। বিলুপ্তপ্রায় পাখি হওয়ায় তাকে মেলায় তুলেছি। বনবিভাগের কর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। তাঁরা বৃহস্পতিবার শকুনটি নিয়ে যাবেন।