
আরিফুল ইসলাম, মণিরামপুর থেকে: মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের নেংগুড়াহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আঃ হক কে প‚র্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর জখম করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ঘটনাটি গৌরীপুর ইউসুফ মোড় নামক স্থানের ঘের সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর রাত আনুমানিক ১১ টায় আবু হুরাইয়ারা পিতা টিটু ও আবুল খায়ের পিতা আঃ হালিম আঃ হকের গতিরোধ করে কথা বলার নাম করে। আঃ হক নেংগুড়াহাট বাজার থেকে নিজ বাড়ী রতনদিয়া গ্রামের বাড়ী যাওয়ার মাঝপথে পৌছালে তারা গতিরোধ করে। এর মাঝে একজন হকের সঙ্গে কথা বলে এবং অপর জন পিছনে থেকে প্রথমে আঘাত করলে আঃ হক গাড়ী থেকে পড়ে যান। গাড়ী থেকে পড়ে যাওয়ার সাথেই দুইজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করতে থাকে। আঃ হককে মৃত্যু ভেবে তারা ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় হকের ভাই ইকবাল হোসেনের ডিস ক্যাবলে কর্মরত মফিজুর ও হাফিজুর ক্যাবল অফিস বন্ধ করে বাড়ীতে আসার সময় হকের মৃত্যু অবস্থায় দেখে চিল্লাতে চিল্লাতে দৌড়িয়ে হকের বাড়ীতে গিয়ে বাড়ীর লোকজন ডেকে আনে। তারা এসে গুরুত্বর জখম অবস্থা দেখতে পাই এবং দ‚রত্ব চিকিৎসার জন্য কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করে। এবিষয়ে আহত আ হকের ভাই ইকবাল হোসেন ও আঃ হাই এর নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,তার ভাই হক নেংগুড়াহাট বাজার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। দীর্ঘ দিন ধরে বাজার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত থাকার সুবাদে এলাকার মানুষের বিভিন্ন সময়ে শালিসী বৈঠকে উপস্থিত থাকেন এবং ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে আসছে।কিন্তু বিগত ঈদুল আজহা উপলক্ষে নেংগুড়াহাট বাজারে চুইঝাল চুরি কে কেন্দ্র করে একটি ঘটনার সাথে আবু হুরাইয়ারা ও আবুল খায়ের জড়িত থাকায় তাদেরকে উক্ত বাজারে আটক রাখে স্থানীয়রা।বাজার কমিটির নিকট এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করলে সভাপতির অনুমতিতে সাধারণ সম্পাদক আ হক উক্ত শালিসি বৈঠকে উভয়ের দোষ প্রমানিত হলে জরিমানা করেন। এসময় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল ইসলাম নিজ জিম্মায় তাদেরকে সেখান থেকে নিয়ে যান।এবং জরিমানার টাকা আবুল ইসলাম নিজে দায়িত্ব নেন। তারই স‚ত্র ধরে গতকাল রাতে ঘটনার আাধা ঘন্টা আগে আবুল ইসলামের গাড়ীতে করে তাদের ঘটনা স্থলে নামিয়ে দেন। গাড়ী থেকে নামিয়ে দেওয়ার আধা ঘণ্টা পরে আঃ হক বাজার থেকে বাড়ি ফেরার মাঝ পথে তার গতিরোধ করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। বিষয়টি আমরা আবুল ইসলামের নিকট ফোনে জানতে চাইলে সে স্বীকার করে তাদেরকে সে আধাঘন্টা আগে ইউসুফ মোড়ে নামিয়ে দিয়ে আসেন। পাশাপাশি আমাদের ধারণা এর পিছনে আরো একজনের ইন্ধন থাকতে পারে সেটাও আমরা খোজ নিয়ে প্রশাসন সহ মিডিয়া কে জানাবো।
এবিষয়ে কোন মামলা হয়েছে কি জানতে চাইলে আঃ হাই বলেন আপাতত রুগী নিয়ে খুলনা আছি রুগি সুস্থ হলে মামলা করা হবে বলে জানান।