সেলিম রেজা মুকুল: ভোমরায় রাজস্ব ফাঁকী দিয়ে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের (ল্যাগেজ পার্টি) ব্যাগ কাষ্টমসের চোখ ফাকি দিয়ে পাচার করছে চোরাচালানী সেন্টিকেট। ল্যাগেজ পার্টির ব্যাগ পাচারের সহযোগিতা করছে ইমিগ্রেশন বিজিবি চেকপোষ্টের সাথে জিরোপয়েন্ট আইসিপি স্থাপিত কাষ্টমসে কাচঘরে ডিউটি করে চা বহনকারী আশরাফুল ও বিজিবির চেকপোষ্টের ঝাড়ুদার পদ্দ শাখড়া গ্রামের নিমাই দাস।
ভোমরা জিরো পয়েন্টের দোকানীরা ও স্থানীয়রা জানায়, নিয়ম অনুযায়ী ভারত থেকে পাসপোর্ট যাত্রীরা ইমিগ্রেশন থেকে বের হওয়ার পর কাষ্টমসের কাচের ঘরের নিকট পোঁছালে তাকে কাষ্টমারের এন্ট্রি শাখায় পোঁছে দেয়ার কথা। কাঁচের ঘরে ডিউটি করে কাষ্টমস অফিসারের চা বহনকারী আশরাফুল জিরো পয়েন্টের (আইসিপি) চায়ের দোকান মানি এক্সটের ঘরে বসে থাকে চোরাচালান সেন্টিকেটের সদস্যরা। বিজিবির ঝাড়ুদার (পরিচয়পত্র ধারী) পদ্দ শাখড়া গ্রামের নিমাই দাস। ভারতীয় ল্যাগেজ ব্যবসায়ীরা ভারতীয় গার্মেন্টস সামগ্রী কসমেটিক্স, ভারতীয় পণ্য, মদ-মাদকদ্রব্য বোঝাই ২/৩ ব্যাগ করে ইমিগ্রেশন থেকে কাঁচের ঘরের সামনে আসলে আশরাফুল, নিমাই দাস সহ চোরাচালানী সেন্টিকেটের সদস্যরা। একইস্থানে মাইক্রো প্রাইভেটকারে ব্যাগ বোঝাই করে কাষ্টমসের এন্ট্রি আমাদের চোখ ফাকী দিয়ে শ্রীরামপুর হয়ে কুলিয়া আশু মার্কেটের সামনে দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে দিচ্ছে। প্রতিদিন ৭/৮ টি প্রাইভেট কার, মাইক্রো করে ল্যাগেজ পাটি বোঝাই করে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকী দিয়ে পাচার করছে চোরাচালান সেন্টিকেট। ইমিগ্রেশনের সামনে বিজিবির চেকপোষ্ট এর পাস থেকে গাড়ীতে ল্যাগেজ পার্টির ব্যাগ পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে সূত্র গুলি জানিয়েছে।
এব্যাপারে কাষ্টমস এন্টি শাখার ইন্সপেক্টর সমির বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জানি না। আমি আমার উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। বিজিবির ভোমরা কোম্পানি কমান্ডারের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঘটনা জানিনা, তবে এখন থেকে আমি আমার লোক লাগাচ্ছি। লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকী দিয়ে মাদক সহ ভারতীয় পণ্য পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকার সচেতন জনগণ, কাষ্টমস, বিজিবির উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভোমরায় ল্যাগেজ পার্টির মাধ্যমে ভারতীয় মদ, মাদকসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঁচারে সক্রিয় চোরাচালান চক্র
পূর্ববর্তী পোস্ট