
আকরামুল ইসলাম:
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে কোন ধরণের লোকসমাগাম ও বাড়ি থেকে বের হতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের এ নির্দেশনা মানছেন না অনেকেই। কোন প্রকার নিরাপত্তা ছাড়াই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। এছাড়া সরকারি দপ্তরের বাইরে হাত ধোয়ার পানি রেখেই দায় সেরেছে সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রি অফিস।
সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, আগতদের হাত ধোয়ার জন্য বাইরে বসানো হয়েছে বেসিং। তবে সেখানে পরিষ্কার করে হাত ধোয়ার জন্য নেই কোন সাবার বা হ্যান্ডওয়াশ। স্বাভাবিকভাবেই চলছে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম। করোনার কোন প্রভাবই নেই এ দপ্তরে।
সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহ ইউনিয়নের গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত. হাজের সরদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৮৫)। ১৭ শতক জমি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রেজিষ্ট্রি করে দিতে এসেছেন জেলা রেজিষ্ট্রি কার্যালয়ে। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে আব্দুল মজিদ সরদার।
বৃদ্ধা আনোয়রা বেগম জানান, জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে এসেছি। করোনা ভাইরাসে মানুষ মারা যাচ্ছে শুনেছি। কোন সতর্কতা এখনো নেইনি।
ওই বৃদ্ধার ছেলে আব্দুল মজিদ সরকার বলেন, শুধু আমরা নই শত শত মানুষ এখানে রয়েছে। যে যার কাজে এসেছেন। দুই একজন ছাড়া সতর্কতামূলক কোন পদক্ষেপ কারো নেই। অফিসে হাত ধোয়ার জন্য পানি রাখা হয়েছে। তবে সেখানে কোন সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ আমি দেখিনি।
আতঙ্কের কথা জানিয়ে দলিল লেখক মীর মনোয়ার আলী জানান, আমরা সকলেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কিন্তু অফিস তো বন্ধ হয়নি। অফিস খোলা থাকায় ও কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলার কারণে লোকজন ভিড় করছে।
সর্বসাধারণকে সমাগম না করার জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা সাব রেজিষ্ট্রার মো. রফিকুল আলম বলেন, করোনা প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বাইরে হাত ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অফিসের কার্যক্রম চলছে যথানিয়মে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো অফিশিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
হাত ধোয়ার পানি থাকলেও সাবান নেই এমন প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, হাত ধোয়ার জন্য সাবাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ হাত না ধুলে আমি কি করতে পারি। আমাদের দেশের মানুষ সচেতন নয়। আমি তো নিজে গিয়ে হাত ধুইয়ে দিয়ে আসতে পারি না।