আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: ভারত থেকে অবৈধ গরু মাদক পাচারের মুল হোতা জামু ও আব্দুল্লাহ এখন সক্রিয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের উপর দিয়ে ভারত থেকে আসছে অবৈধ গরু, সেই সাথে অভিযোগ আছে মাদকদ্রব্যেরও। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত দিয়ে রাতের আধাঁরে ভারত থেকে অবৈধ পথে সুন্দরবনের উপর দিয়ে গরু নিয়ে আসছে। তবে এখানেই শেষ না, তার সাথেও আসছে বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল। টিম লিডার হিসাবে জামু প্রধান। জামু কতিপয় কিছু প্রশাসন কে টাকা দিয়ে অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ভেটখালী বাজারের এরশাদরের চায়ের দোকানে বসে কথিত কর্মকর্তাদের নিয়ে দুপুরে শ্যামনগর হোটেল থেকে খাবার এনিয়ে খেতে দেখা যায়।কথাই কথাই ঐ সকল কর্মকর্তাদের ভয় দেখায়।পাচার ব্যাবসায়ী জামুর টিমের অর্থ দাতা জাবের। জাবের কালীচে গ্রামের সাবেক কাশেম মেম্বারের ছেলে। জামুর টিমের মধ্য চার পাচ জন সদস্য রয়েছে।
অবৈধ পথে গরু পাচারকারীর মুল হোতা গোলাখালী গ্রামের ছেয়ামউদ্দীন মোল¬্যার পুত্র র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণকারি বনদস্যু জামির আলী ওরফে জামু ও তারই প্রধান পার্টনার কালিচে গ্রামের আকবার তরফদারের ছেলে আব্দুল্লাহ। এই দুজনের বিরুদ্ধে ডজনের অধিক মামলা রয়েছে। একাধীক গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানাগেছে যে, গোলাখালী গ্রামের ছেয়ামউদ্দীন মোল¬্যার পুত্র মেকাইল ভারতে বসাবস করে। সেই সুবাদে তার আপন ভাই র্যাবের স্যালেন্ডারকৃত বনদস্যু জামির আলী ওরফে জামু এই অবৈধ গরু পাঁচার করে থাকে। জামু বাংলাদেশ থেকে বড় পাটি ধরে ভারতে তার ভাই মেকাইলের মাধ্যমে অবৈধ গরু ক্রয় করে এবং এই মেকাইল ক্রয় করা অবৈধ গরু ভারত থেকে সুন্দরবনের কচুখালী নামক স্থানে রেখে মোবাইল করলে জামু ও তাদের সঙ্গীরা সেখান থেকে অবৈধ গরুগুলো রাঁতের আধাঁরে পার করে থাকে এবং দেলোয়ারের বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বাড়ী হওয়ার ফলে বিজিবিদের গতিবিধি লক্ষ করে সকল প্রকারে খবর আদান প্রদান করে থাকে। তবে তার সাথে অবৈধ গরু পারাপারে বোর্ডম্যান হিসাবে গোলাখালী গ্রামের বেলাল হোসেনও কাজ করে।
গত ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে গভীর রাতে বংশিপুর থেকে শ্যামনগর থানা পুলিশ ১৩ পিছ ভারতীয় অবৈধ গরু আটক করে। পরে অবৈধ ভারতীয় গরু পাচারের অপরাধে জামু, বেলাল সহ বেশ কয়েকজনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করে শ্যামনগর থানার পুলিশ। তবে গত এবং আগামী ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসন ব্যস্ততম সময় পার করছেন বিভিন্ন প্রশাসন এর মধদিয়ে জামু ও আব্দুল্লাহ সহ তার সহযোগীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছি। প্রতিদিন অবৈধপথে ভারত থেকে আনা হচ্ছে গরু, মাদক সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল।
একটি বিশেষ স‚ত্রে জানাগেছে যে, জামু ও আব্দুল্লাহ ভারত থেকে অবৈধ গরু পাচারের পাশাপমি আনছে বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য সহ মাছে ব্যবহৃত কেমিক্যাল। যে কেমিক্যাল মাছে দিলে মাছ নষ্ট হবে না। বনদস্যু জামির আলী ওরফে জামু প্রশাসনের চোখে ধুলা দিয়ে, প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে নিজের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জামির আলী ওরফে জামুর ০১৭১৩৬৭৮৮৬৭ মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ১/২টা গরু আসে। মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যালের বিষয় মিথ্যা।
এবিষয় আব্দুল্লাহ প্রতিবেদক কে বলেন থানায় পয়সা দিয়ে জামু ব্যাবসা করছে আমি আর কিছু জানি না।