
স্পোর্টস ডেস্ক:
পাওয়ারপ্লেতে পাওয়া দারুণ সূচনা কাজে লাগিয়ে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থবারের মতো ২০০ পার করেছে বাংলাদেশ। তবে ১৯.২ ওভারে বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টির বেগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকেল ৩.৫৫ মিনিটে নিশ্চিত করা হয়, বাকি বল খেলতে আর নামবে না বাংলাদেশ। তাই ৫ উইকেটে ২০৭ রানেই থেমে গেল টাইগারদের ইনিংস।
সোমবার (২৭ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন রনি তালুকদার। বৃষ্টির কারণে এখানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের জন্য তাই ডিএলএস পদ্ধতিতে নতুন করে নির্ধারণ করা হবে লক্ষ।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ঝোড়ো ব্যাটিং দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। আইরিশ পেসার হ্যারি ট্যাকটরের প্রথম ওভার থেকে আসে ১১ রান। ওভারটিতে একটি ছক্কা হাঁকান লিটন। দ্বিতীয় ওভারে আরও চড়াও হন লিটন ও রনি। সেখান থেকে আসে ১৪ রান।
প্রথম দুই ওভারে ২৫ রানে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। এই রেশ থাকে পুরো পাওয়ার প্লে জুড়ে। আইরিশ বোলারদের তুলোধুনো করে ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮১ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল।
এর মধ্যে ষষ্ঠ ওভারটিকে বাউন্ডারির ফুলঝুড়ি ফোটান রনি তালুকদার। এক ছক্কা ও তিন চারের মাধ্যমে তিনি ওই ওভারটিতে ১৯ রান সংগ্রহ করেন।
আর এতেই টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রান। যা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড পায় লিটন-রনিরা।
রেকর্ড গড়ার পরে আউট হন লিটন। ৭.১ ওভারে দলীয় ৯১ রানে আউট হন তিনি। তার আগে ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরে ৪৭ রান করেন তিনি। অর্ধশতক মিস করলেও রেকর্ড মিস করেননি লিটন। এদিন বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম দেড় হাজার রানের রেকর্ড গড়েন। ৬৮ ইনিংসেই দেড় হাজার রান করে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে। সমান সংখ্যক রান করতে তামিম ইকবালের লেগেছিল ৭১ ইনিংস।
লিটনের অর্ধশতক না পাওয়ার দিনে বাংলাদেশের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন রনি তালুকদার। লিটনের ওপেনিং পার্টনার ২৩ বলে পূরণ করেছেন অর্ধশতক। বলের হিসেবে এটি বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে থামেন রনি।
গ্রাহাম হিউমের ফুললেংথের বলটা যতটা ভেবেছিলেন, ততটা ওঠেনি। পুরোপুরি মিস করে বোল্ড হন রনি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। ট্যাকটরের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ১৪ রান। তবে সেকেন্ড ডাউনে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছেন শামিম হোসেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই মারকুটে ব্যাটার ২০ বলে খেলেছেন ৩০ রানের দারুণ এক ইনিংস। আদায়ারের বলে স্টার্লিংয়ের হাতে ধরা পড়ার আগে ২টি চার ও ১টি ছয় হাঁকান তিনি।
রনি-শামিমের বিদায়ের পর সাকিব-তাওহিদ হৃদয় মিলে বাংলাদেশকে ২০০ পার করেন। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৬ মেরে ২০০ পূর্ণ করেন তাওহিদ। তবে ক্রেইগ ইয়ংয়ের পরের বলেই ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৮ বলে ১৩ রান করেন হৃদয়।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকানো সাকিব এদিন ১৩ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। এরপরই নামে বৃষ্টি।