
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় চোরাই হাঁস নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ এক মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। হাঁস মালিকদের পক্ষ থেকে বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নওয়াপাড়া গ্রামের মহিদুল ঢালীর স্ত্রী মোসলেমা বেগম নিজ বাড়ীতে হাঁস-মুরগী পালন করে থাকেন। কয়েকদিন আগে মহিদুল ঢালীর বাড়ী থেকে বড় একটি রাজ হাঁস চুরি হয়ে যায়। যার আনুমানিক ওজন প্রায় ৫কেজি। কয়েকদিন ধরে চুরি হওয়া হাঁসের খোঁজ নিতে থাকায় শনিবার বুধহাটা কাঁচা বাজার সড়কে ছবেদ পোল্ট্রির দোকানে চুরি হওয়া হাঁসের সন্ধান পাওয়া যায়। হাঁসের সন্ধানকালে ভুক্তভোগী মহিদুল ঢালী জানতে পারেন, বুধহাটা গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে, যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি হাতেম আলী চুরিকৃত হাঁস চোরদের সনাক্ত করে। পরে উত্তর চাপড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুর রব এর মাধ্যমে এক শালিস বৈঠকে চোরদের নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করাসহ চুরিকৃত হাঁসটি উদ্ধার করে তারা। তবে হাঁসটি মালিককে না দিয়ে উদ্ধার হওয়া হাঁসটি বুধহাটা বাজারের ছবেদ আলীর পোল্ট্রির দোকানে ৭শত টাকায় বিক্রয় করেন হাতেম আলী। কিন্তু এসকল বিষয়ে হাঁসের মালিক মহিদুল ঢালী বা তার স্ত্রী মোসলেমা বেগম কিছুই জানেন না বলে অভিযোগে প্রকাশ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি মহিদুল ঢালী জানতে পারলে ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি হাতেম আলীর কাছে হাঁসের দাবি করায় মহিদুল ঢালীকে মারপিট করার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ছবেদ আলীর কাছে হাঁসটি রক্ষিত থাকায় তার কাছে ৬শত টাকার বিনিময়ে হাঁস ফেরত চাইলেও তিনি কোন তোয়াক্কা করেননি বলে অভিযোগ করেন মহিদুল ঢালী। চুরিকৃত হাস উদ্ধার এবং চোর সনাক্তের উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে হাঁস মালিক মহিদুল ঢালী বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন, হাতেম আলী ও ছবেদ আলী তদন্ত কেন্দ্রে হাজির হয়ে হাঁস চোরদের নাম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন এবং ছবেদ আলী উদ্ধারকৃত হাঁসটি মহিদুল ঢালীকে ফেরত দেন বলে জানান পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মামুন হোসেন। তবে আগামীতে কাউকে ঠকিয়ে অভিযুক্তরা এ ধরনের বিচারিক কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকা প্রদান করেন বলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানাগেছে। বিষয়টি নিয়ে বাজারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অলিতে গলিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।